View
6
Download
0
Category
Preview:
Citation preview
ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব
সায়ীদ ইসমাঈল
lsquoউদদেশযপরণ ও উদদেশযহীন
পরচলিত নিরেট ভরানতিবিলাসের
অনযতম হলো মানষের সসীম ও
সীমিত বোধশকতিতে নিরভর করে
অসীম জঞানী আললাহর পরণীত আইন
ও বিচারের পরামাণযতা বা
বিশবাসযোগযতা নিয়ে পরশন তোলা
অথচ মানষের শরবণ দরশন ও
ঘরাণেনদরিয় সরবাধনিক পরযকতির
যনতর বযবহারের পরও আমাদের
আনষঙগিক ও পারিপারশবিক জীবনের
অনেক কিছই বঝতে অকষমrsquo এই
গরনথে আকীদা ইবাদত আইন
মানবাধিকার ইসলাম-পরচার উগরবাদ-
চরমপনথা ও নারীর মরযাদা-অধিকার
পরভতি বিষয়ে ইসলামের অবসথান এবং
উগরবাদের অরথ ও ইসলামী শরীয়াকে
কেনদর করে উতথাপিত ইসলামের নানা
সমালোচনার যকতিপরণ জবাব পরদান
করা হয়েছে পাশাপাশি যৌকতিক
উপায়ে ইসলামের সামষটিক
বিষয়সমহের পরিচয় উপসথাপন করা
হয়েছে
httpsislamhousecom401710
ইসলামের সমালোচনা ও তার
জবাব
o ভমিকা
o আকীদা ইবাদাত ও আইনের
সমষটির নাম ইসলাম
o ইসলামী শরীlsquoআ ও বাসতবতার
সমপরক
o ইসলামে মানবাধিকার
ইসলামে ইনসাফ ও সমতার
অরথ
ইসলামে সবাধীনতার অরথ
নাগরিকের বাক সবাধীনতা
ইসলামে দাসতব বলতে কী
বঝায়
রাজনৈতিক সংগঠন
সমপরকে ইসলাম
জাতীয়তা ও ধরমে
বিভিননতা সমপরকে
ইসলাম কী বলে
o ইসলামে মানবিক সমপরক
এ থেকে আমরা দrsquoটি
গরতবপরণ বাসতবতা
বঝতে পারি
আনতধরম সংলাপ বিষয়ে
ইসলামের অবসথান
মানবাধিকার
সংগঠনগলো সমপরকে
ইসলামের অবসথান
o কলযাণ পরচারে আগরহ
মসলিমরা ইসলাম পরচারে
আগরহী কেন
ইসলামী রাষটরে অনয
ধরমের তৎপরতা নিষিদধ
কেন
o সৌদি আরবে অনয ধরমের
পরকাশয চরচা নিষিদধ কেন
o ইসলাম সনতরাস ও উগরতাকে
পরতযাখযান করে
আতমরকষামলক এবং
আকরমণাতমক
ভীতিপরদরশনের মধযে
পারথকয করবো কীভাবে
ইসলাম কীভাবে সনতরাস
পরতিরোধ করে
করআন শিকষার
পরতিষঠান কি সনতরাস ও
উগরবাদ ডেকে আনে
o ইসলামে নারী
পরষের তলনায় নারীর
মরযাদা
ক নারী যেসব অবসথায়
পরষের সমান
খ যেসব অবসথায় নারী
পরষের চেয়ে ভিনন
গ পরষের কিছ যোগযতা
ও বৈশিষটয
রাজনৈতিক করমকাণডে
নারীর অবসথান
কিছ বিচারে নারীর সাকষয
পরষের অরধেক কেন
নারীর উততরাধিকার কিছ
কষেতরে পরষের অরধেক
কেন
নারীর বিয়ের কষেতরে
অভিভাবক লাগে কেন আর
তালাক কেন পরষের হাতে
মসলিম নারীর জনয
অমসলিম পরষকে বিবাহ
করা অবৈধ কেন
ইসলাম কেন একাধিক
সতরী গরহণের অনমতি
দেয়
মহিলাদের জনয গাড়ি
ডরাইভ করার অনমতি নেই
কেন
হিজাব কেন নারীর জনয
o ইসলামী শাসন পরতিষঠা ও
বাড়াবাড়ি
কিছ দেশের শরীlsquoআ বিধান
বাসতবায়নকে উগরতা বলে
আখযায়িত করা হয় কেন
ইসলামী রাষটর কি
মতযদণড বাতিল করতে
পারে
ইসলামী রাষটর কি
চোরের হাত কাটার শাসতি
বাতিল করতে পারে
ইসলামী রাষটর কি
বযাভিচারীর বেতরাঘাত
দণড বাতিল করতে পারে
বিবাহিত বযাভিচারিণীর
পরসতরাঘাত দণডের
বাসতবতা কী
ইসলাম তযাগকারী কি
হতযার যোগয
o পরিশিষট
দrsquoটি বিষয় ভলে গিয়ে
অনেক সময় ইসলামের
পরতিষঠিত কিছ বিধান
নিয়ে পরশন তোলা হয়
অনেকে ইসলামী রাষটরের
কিছ ধরমীয় বিধান
বাসতবায়ন নিয়ে পরশন
তোলেন অথচ তারা ভলে
যান
ইসলামের সমালোচনা ও তার জবাব
ড সাঈদ ইসমাঈল চীনী
অনবাদ আলী হাসান তৈয়ব
সমপাদনা ড মোহামমদ মানজরে
ইলাহী
ভমিকা
পরশংসা ও সততি সব মহাবিশবের
সরষটা ও পরতিপালক আললাহর জনয
সালাত ও সালাম বরষিত হোক শেষ নবী
মহামমাদ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললাম এবং পথিবীতে শানতি
পরতিষঠার বরতে পরেরিত আললাহর
সকল নবী-রাসলের ওপর আললাহ
তাlsquoআলা সনতষট হোন মহামমাদ
সাললাললাহ আলাইহি ওয়াসাললামের
সৌভাগযবান পরতযেক সাহাবী সকল
নবী-রাসলের পরতযেক একনিষঠ
সঙগী-সাথী এবং কিয়ামত পরযনত
আগত তাদের অনসরণকারী পরতিটি
মানষের ওপর
উদদেশযপরণ ও উদদেশযহীন পরচলিত
নিরেট ভরানতিবিলাসের অনযতম হলো
মানষের সসীম ও সীমিত বোধশকতিতে
নিরভর করে অসীম জঞানী আললাহর
পরণীত আইন ও বিচারের পরামাণযতা
বা বিশবাসযোগযতা নিয়ে পরশন
তোলা অথচ মানষের শরবণ দরশন ও
ঘরাণেনদরিয় সরবাধনিক পরযকতির
যনতর বযবহারের পরও আমাদের
আনষঙগিক ও পারিপারশবিক জীবনের
অনেক কিছই বঝতে অকষম
বসততঃ আমরা যে জঞান অরজন করি
তা পরামাণযকরণের দrsquoটি পদধতি
রয়েছে আল-মানহাজন নাকলী বা
বরণিত পদধতি এবং আল-মানহাজল
আকলী বা অরজিত পদধতি বরণিত
পদধতি নিরভর করে বরণনাকারীর
পরামাণিকতার ওপর চাই তিনি একজন
হন বা বহজন চাই এ বরণনার
পরমপরায় বযকতি থাকন বা দল
পকষানতরে অরজিত পদধতি নিরভর
করে পরধানত আমাদের পঞচেনদরিয়
এবং উদভাবনী কষমতার ওপর
তবে বিশেষত পরামাণযতার বিষয়টি
যখন সামনে আসে পরতযকষভাবে
সরষটার সঙগে সমপকত তথয যেমন
পবিতর গরনথাবলি নিয়ে তখন
সংশলিষট ধরমীয় গরনথের পরচারক ঐ
নবী-রাসলের পরবরতী পরজনমের জনয
বরণিত পদধতির পরমাণ থাকলে তাকে
পরাধানয দেওয়া ছাড়া গতযনতর থাকে
না অরজিত পদধতির কথা আসে
এরপরে কারণ জঞান-বিজঞানের
করমবিকাশের ইতিহাস সামনে রাখলে
আমরা দেখতে পাই মানষ পরকতিতে
অনাদিকাল থেকে বিরাজমান অনেক
কিছই বঝতে পারে নি যগ-যগানতরের
সাধনা আর বিরামহীন পরচেষটার পরই
কেবল তার সমপরকে করমানবয়ে ধারণা
লাভ করেছে এরপরও সরষটার গড়া
মহাবিশবের অনেক কিছই দরবোধয ও
রহসযাবত রয়ে গেছে মানষের সীমিত
জঞান সেসব চিনতে পারে নি সকষম
হয় নি সেগলোকে বঝতে বা তার
পরকতি আবিষকার করতে
অনেক বৈজঞানিক আবিষকারও কিনত
আমাদের ভেতরে সংশয় ও বিসময়ের
জনম দেয় তারপরও যে সতর মারফত
তা আমাদের কাছে পৌৌছেছে তার ওপর
আসথার কারণে আমরা তাতে আসথাবান
হই অরথাৎ আমরা এ জনয সেটাকে
গরহণ করি না যে সাধারণ অরজিত
জঞান তার অসতিতব পরমাণ করছে
বরং আমরা তা মেনে নেই বরণিত জঞান
ঐ বসতটির অসতিতব পরমাণ করার
কারণে
আরেকটি নগন ভল এই যে মানষ তার
মহান সরষটার বযাপক ও পরণাঙগ
বিধানের একটি সীমিত অংশ সমপরকে
জানার পর নিজের অপরযাপত তথয ও
অসমপরণ বোধশকতির ওপর নিরভর
করে এই কষদে অংশের সমালোচনার
সপরধা দেখায় এ ভলের ঝৌকি আরো
বেড়ে যায় যখন এটি হয় কোনো
পবিতর উদধতি সরষটার সঙগে যার
সমপকততা অকাটয বা পরায়
অকাটযভাবে পরমাণিত আর মানষ এই
ভল তথা একটি পবিতর উদধতিকে তার
পরবাপর বা পরেকষাপট বিবেচনায় না
নিয়ে সমালোচনা কিনত অজঞতা হেত
করে না এটি করে বরং তার পরতি
অবজঞা বা ভিননমতের পরতি
পকষপাত দেখাতে গিয়ে
এমন ভলের একটি উদাহরণ হলো
কোনো গবেষকের কোনো আসমানী
আইন নিয়ে কেবল পারথিব জীবনের
দষটিকোণ থেকে কিংবা কষণসথায়ী
দনিয়া ও চিরসথায়ী আখিরাতের মধযে
সমপরক মাথায় না রেখে আলোচনা
করা কেননা পারথিব জীবন আখিরাত
জীবনের কষেত ছাড়া কিছই নয়
দনিয়াতে আমরা যা চাষ করবো সে
সামানযরই ফসল উঠাবো আখিরাতে
আর আখিরাতে যে ফসল উঠাবো তা
দিয়েই আমরা পার পাবো
এর আরেক উদাহরণ জীবনের অনয
কষেতরের আইনের সঙগে এবং
আখিরাতের সঙগে একটি আইনের
সমপরক বিবেচনায় না নিয়ে গবেষকের
পারথিব জীবন সংকরানত কোনো
ইসলামী আইনের সমালোচনা করা যে
বযকতি অজঞতা বা অবজঞাবশত
কোনো ইসলামী আইনের পরকতি ও
পরবাপর সমপরকে না জেনে আলোচনা
করেন তিনি ঐ বযকতির নযায় যিনি
একটি পরণাঙগ বিধানের পরসপর
সমপরকযকত অংশগলোর একটির
মলযায়ন করেন তার সমপরক অংশ
সমপরকে না জেনেই এ বযকতি আসলে
ঐ বযকতির মতো যে বলে রাত বা
রাতের আধাৌরের কী দরকার এটি
আমাদের মধযে ভীতি ও তরাস জাগিয়ে
দেয় আমাদেরকে কষট করে আলোর
বযবসথা করতে হয় অথচ সে এ কথা
ভলে যায় যদি রাত ও অনধকার না
থাকতো তাহলে আমরা দিন ও আলো
চিনতাম না দিন ও আলোর মলযও
বঝতে পারতাম না
এসব ভলের যোগফলে এ ধরনের
গবেষকগণ এমন বকতবয উদধার
করেন যা ঐ উদধতি বা বাণীর
উদদেশযের সঙগে সাংঘরষিক বা তা
থেকে সমপরণ ভিনন তাই জঞানী
বযকতি যখন পবিতর কোনো
উদধতির সমালোচনা বা মলযায়ন
করেন তখন তাকে পরথমে অবশযই
জেনে নিতে হবে বিধানটিতে এর ভমিকা
কী তারপরই কেবল তিনি এর পরশংসা
বা সমালোচনা করবেন
গরনথটি পরণীত হয়েছে দrsquoটি লকষযকে
সামনে রেখে
1 আকীদা ইবাদাত আইন
মানবাধিকার ইসলাম-পরচার উগরবাদ-
চরমপনথা ও নারীর মরযাদা-অধিকার
বিষয়ে ইসলামের অবসথান এবং
উগরবাদের অরথ ও ইসলামী শরীlsquoআকে
কেনদর করে উতথাপিত ইসলামের নানা
উষণ সমালোচনার জবাব পরদান
2 যকতিপরণ পদধতিতে ইসলামের
সামষটিক বিষয়সমহের পরিচয়
উপসথাপন এবং কিছ ভাইয়ের কতিপয়
জোরালো পরসতাবে সাড়া দান
লেখক এতে নিমনোকত পদধতি ধরে
রাখার চেষটা করেছেন
1 শধ অমসলিম নয় মসলিমদের
মখেও অধিক উচচারিত পরশনগলোকে
বাছাই করা হয়েছে
2 আলোচনার জনয উতথাপিত
বিষয়ের বযাখযায় অতি সংকষেপে
বাসতব কিছ দষটানতেরও সাহাযয নেয়া
হয়েছে পাশাপাশি নকলী দলীলাদি বা
বরণিত পরমাণসমহ তলে ধরায়
যথাসমভব মধযমপনথা অবলমবন করা
হয়েছে
3 সসপষট বিরোধ ছাড়া
মতবিরোধপরণ বিষয়গলোতে কেবল
অগরাধিকারপরাপত মতই উললেখ করা
হয়েছে
4 যেসব বিষয়ে বিরোধ সসপষট
সেসবে পরসপর বিরোধী
দষটিভঙগিসমহ এবং তার যকতিপরমাণ
উপসথাপন করা হয়েছে
5 ইসলামের শিকষার সঙগে
সমপরকহীন অনিরভরযোগয তথয
থেকে বিরত থাকা হয়েছে
বকষমান গরনথটি আমি মলতঃ নিজের
পঠন-অধযয়ন ও বযকতিগত
অভিজঞতা থেকে লিখেছি যেসব গরনথ
থেকে আমি উপকত হয়েছি তার
লেখকদের কতজঞতা পরকাশ করছি
আর শর ও শেষের সব পরশংসাই
আললাহর জনয তাৌর কাছে পরারথনা
তিনি যেন এ গরনথটি পরকাশের পথে
নানাভাবে যারা সাহাযয করেছেন
তাদেরকে উততম পরসকারে ভষিত
করেন এবং এর দবারা তাৌর বানদাদের
উপকত করেন
ড সাঈদ ইসমাঈল চীনী
মদীনা মনাওয়ারা 010৬1430 হিজরী
আকীদা ইবাদাত ও আইনের সমষটির
নাম ইসলাম
আকীদা ইবাদাত আইন ও চারিতরিক
আদরশাবলির সমষটির নাম ইসলাম
এটিই সে আসমানী রিসালত ঐশী
বারতার সরবশেষ রপ যা সরবপরথম
এনেছিলেন আদম আলাইহিহিস সালাম
যগে যগে যার সংসকার সাধন করেছেন
নহ ইবরাহীম মসা ঈসা ও মহামমাদ
সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামসহ[1] সকল নবী-রাসল
সব রিসালাত বা পরতযাদেশই মানষকে
আহবান জানিয়েছে তার কষণসথায়ী ও
চিরসথায়ী সৌভাগয বাসতবায়নের
পথে তবে এসব রিসালতের সবই ছিল
যে যগের নবী বা যে সথানের নবী কেবল
তার উপযোগী একমাতর ইসলামই
এসেছে সমগর মানবের জনয রহমত ও
শানতি সবরপ এবং আসমানী সকল
রিসালাতকে রহিত করতে আললাহ
তাlsquoআলা তাৌর রাসলকে সমবোধন করে
বলেন
لمين لع ك إلا رحمة ل ]النبياء ﴾ ١٠٧﴿وما أرسلن
١٠٧]
ldquoআর আমরা তো তোমাকে
সষটিকলের জনয রহমত হিসেবেই
পরেরণ করেছিrdquo [সরা আল-আমবিয়া
আয়াত 107]
আললাহ তাlsquoআলা আরো বলেন
سول كن را جالكم ول ن ر د أبا أحد م ا كان محما ﴿ما
وخاتم ٱلنابي ليما ٱللا ء بك ﴾ ٤٠ن وكان ٱللا
[٤٠]الحزاب
ldquoমহামমাদ তোমাদের কোনো পরষের
পিতা নয় তবে আললাহর রাসল ও
সরবশেষ নবী আর আললাহ সকল
বিষয়ে সরবজঞrdquo [সরা আল-আহযাব
আয়াত 40]
মৌলিক আকীদা ও ইবাদাতগলো কী
কী
ইসলামের মৌলিক আকীদা এ
বাসতবতাকে ঘিরে আবরতিত যে
দনিয়ার জীবনই পরণ গলপ নয়
দেখবেন কিছ মানষ জনম নেয় তার মেধা
অথবা পৈতকসতরে পাওয়া সমপততিকে
কাজে লাগিয়ে জীবনটাকে উপভোগ
করার জনয কিছ লোক জনম গরহণ
করে তার বোকামী ও নিরবদধিতা
অথবা দারিদরের সঙগে যঝবার জনয
আবার কেউ শতরদের শতরতার বলী
হয় যেকোনো মতে এ জগতের শাসতির
হাত থেকে কোনোমতে পালিয়ে যায়
তেমনি আবার কেউ জীবন তার
সৌভাগযের বদৌলতে সখ ভোগ করে
পকষানতরে অনযজন দরভাগযের
শিকার হয়ে কষট ও বঞচনাভরা
জীবনের ঘানি টেনে বেড়ায় এখন যদি
জীবনের গলপ দনিয়া পরযনতই
সীমাবদধ হয় তাহলে ইনসাফ থাকে
কীভাবে এ কারণেই ইসলাম আরেকটি
শাশবত জীবনের কথা বলে সেখানেই
হবে চড়ানত হিসাব সেখানেই
পরতিষঠিত হবে পরণ ইনসাফ
পরকত মৌলিক আকীদাগলো অতীতের
সব আসমানী গরনথ করতকই
পরমাণিত আর ইসলামের দষটিতে তা
দশযায়িত হয় সরষটার একতব তাৌর
নিরদেশ পালনের অতযাবশযকতা এবং
একমাতর তাৌরই ইবাদাত তথা দাসতবের
মধয দিয়ে আললাহ তাlsquoআলা বলেন
ل يغ لك ﴿إنا ٱللا فر أن يشرك بهۦ ويغفر ما دون ذ
﴾ [٤٨]النساء لمن يشاء
ldquoনিশচয় আললাহ তাৌর সাথে শরীক
করাকে কষমা করেন না তিনি কষমা
করেন এ ছাড়া অনযানয পাপ যার জনয
তিনি চানrdquo [সরা আন-নিসা আয়াত
4৮ 11৬]
ইসলামের মৌলিক আকীদাগলো
বাসতবায়িত হয় এক আললাহ তাৌর
ফিরিশতাগণ কিতাবসমহ রাসলগণ
শেষ দিবস এবং ভালো-মনদে তকদীর
তথা ভাগযের ওপর ঈমান[2] ও
বিশবাসের মাধযমে পকষানতরে
মৌলিক ইবাদাত হয় ইসলামের
পঞচভিততির মধয দিয়ে অরথাৎ
আললাহ ছাড়া কোনো সতযিকার
উপাসয নেই এবং মহামমাদ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললাম আললাহর রাসল
এ কথা সবীকার করা সালাত কায়েম
করা যাকাত আদায় করা রমযানে
সিয়াম পালন করা এবং যার সাধয আছে
তার বাইতললাহর হজ করা[3]
এসব ইবাদাত মানষের নিতয জীবনের
সঙগে সমপকত যেমন নিরদিষট সময়ে
পবিতরতা ও অযর শরতে পাৌচবার
সালাত আদায় করা এটি মানষকে সময়
শচিতা ও শঙখলায় যতনবান হবার
পরশিকষণ দেয় একইসঙগে তা
মানষকে নিজের কাজে এবং তার
সরষটার হক সমপরকে আনতরিক ও
সচেতন হতে শিকষা দেয় তেমনি যাকাত
মানষকে তার অভিনন জাতি তথা
মানষের হকের কথা সিয়াম কষতি করে
না এমন সব সষটির পরতি দয়ারদর
হবার পরয়োজনীয়তার কথা এবং হজ
মানষের সঙগে মেলামেশা যোগাযোগ
ও পারসপরিক সহযোগিতার কথা
সমরণ করিয়ে দেয়
এটা ঠিক যে ইসলামের ইবাদাতে
কোনো কোনো আমল বাহযিকভাবে
পৌততলিক ধরমীয় আচারের সঙগে
সাদশয রাখে যেমন কাবামখী হয়ে
সালাত আদায় এবং তাকে কেনদর করে
তাওয়াফ করা ইতযাদি কিনত বাসতবে
এতদভয়ের মাঝে সসপষট পারথকয
রয়েছে ইসলামী রীতি কোনো যকতির
আলোকে নয় এটি সরাসরি আললাহর
নিরদেশ হিসেবে সমপাদয তাই তা
পালনের অরথ কেবল আললাহ
তাlsquoআলার পরণ আনগতয পরদরশন
পকষানতরে মানষ যেসব আচার ও
রীতির কথা বলে- চাই তা যৌকতিক
হোক বা অযৌকতিক- তা আললাহ
তাlsquoআলার মল শিকষার বিকত রপ
লকষণীয় আকীদার মতো মৌলিক
ইবাদাতগলো ও তার মৌলিক
উপাদানসমহ ইসলাম আগমনের দিন
থেকে বরতমান পরযনত অপরিবরতিত
রয়েছে নিতযপরিবরতশীল জীবনের
পরয়োজন ও জীবনোপকরণের
পরিবরতনের মাধযমে মানষের সহজের
জনয অলপ কিছ কষেতর ছাড়া (যেমন
সফরকালে সালাতে কসর এবং সিয়াম
পালন না করে অনয দিন করা) ইবাদাত
খব একটা পরভাবিত হয় না
তবে মানষের সমপরক সংশলিষট কিছ
আইন আছে যা জীবনোপকরণ ও
জীবনের নিতয নতন ও পরিবরতনশীল
উপকরণের দবারা পরভাবিত হবে
কিনত ইসলাম যেহেত আসমানী
রিসালাতসমহ ও সমগর বিশবাসীর জনয
সরবশেষ দীন তাই বিশবসরষটা আললাহ
তাlsquoআলা এর এমন কিছ গণের দায়িতব
নিয়েছেন যা একে সরবযগে সরবসথানে
পরয়োগ ও বাসতবায়নের যোগয
করবে
চৌদদশ বছর আগের শরীlsquoআত কীভাবে
বাসতবায়ন সমভব
হযাৌ অনেকেই এ বিয়ষটায় বিসময়
বোধ করেন যে চৌদদশ বছর আগে
আবিরভাব হলেও ইসলাম কীভাবে তার
আইনগলোকে এই যগের জনয
পরাসঙগিক ভাবে আশচরয এরা
কীভাবে ভলে যায় যে মানষ যদি এমন
নিয়ম ও আইন পরণয়ন করতে সকষম
হয় যা যগযগানতরের জনয চলনসই হয়
তাহলে এই মহাবিশবের নিপণ কারিগর
ও খোদ এই মানষেরও একক সরষটা
যিনি অতীত বরতমান ও ভবিষযতের
সবই জানেন তার পকষে এমন জীবন
বিধান রচনা কি অসমভব হতে পারে
একজন মসলিম করতক এমন পরশন
উতথাপনের বিধান কী
জিজঞাস মসলিম ভলে যান তার
ইসলামের আলো-বাতাসে বেড়ে ওঠা
কিনত অকাটয বা পরায় অকাটযভাবে
পরমাণিত আললাহর সনিরদিষট আইন
ও বিধানে পরশনাতীতভাবে ঈমান রাখার
দাবী রাখে ভলে গেলে চলবে না শধ তার
সনদেহই তাকে কফরী ও কঠিন শাসতির
মখে ঠেলে দিতে পারে অনাদিকাল থেকে
মহা বিশবের নিয়নতরণকারী আললাহ
তাlsquoআলাই একমাতর এমন বিধান রচনা
করতে সকষম কিয়ামত পরযনত যার
আবেদন ফরাবে না তাই মানষের জনয
তাৌর এবং সরবসরষটা আললাহর
বিধানের সমালোচনা করা সমীচীন নয়
আললাহ তাlsquoআলা বলেন
جر موك فيما ﴿فل ورب ك ل يؤمنون حتاى يحك
ا قضيت ما أنفسهم حرجا م بينهم ثما ل يجدوا ف
[٦٥]النساء ﴾ ٦٥ويسل موا تسليما
ldquoঅতএব তোমার রবের কসম তারা
মমিন হবে না যতকষণ না তাদের মধযে
সষট বিবাদের বযাপারে তোমাকে
বিচারক নিরধারণ করে তারপর তমি যে
ফয়সালা দেবে সে বযাপারে নিজদের
অনতরে কোনো দবিধা অনভব না করে
এবং পরণ সমমতিতে মেনে নেয়rdquo [সরা
আন-নিসা আয়াত ৬5]
আললাহ তাlsquoআলার বিধান নিয়ে
সমালোচনা করার সময় একজন মসলিম
কীভাবে ভলে যায় যে সে আললাহর
নিরদেশাবলির মধযে কোনো কিছ
নিরবাচন-বরজনের অধিকার রাখে না
তার অধিকার নেই কোনোটাকে গরহণ
আর কোনোটাকে বরজন করার
আললাহ তাlsquoআলা বলেন
ب وتكفرون ببعض فما ﴿أفتؤمنون ببعض ٱلكت
ة لك منكم إلا خزي ف ٱلحيوجزاء من يفع ذ
د ٱلعذاب وما ٱللا أ مة يردون إلى ٱلدنيا ويوم ٱلقي
ا تعملون ما ف [٨٥]البقرة ﴾ ٨٥بغ
ldquoতোমরা কি কিতাবের কিছ অংশে ঈমান
রাখ আর কিছ অংশ অসবীকার কর
সতরাং তোমাদের মধযে যারা তা করে
দনিয়ার জীবনে লাঞছনা ছাড়া তাদের কী
পরতিদান হতে পারে আর কিয়ামতের
দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে
নিকষেপ করা হবে আর তোমরা যা
কর আললাহ সে সমপরকে গাফিল ননrdquo
[সরা আল-বাকারাহ আয়াত ৮5]
এখানে ইসলাম গরহণ তথা নিজেকে
আললাহ তাlsquoআলার কাছে সমরপনের
তিনটি পরকারের অবশযিকতার দিকে
ইঙগিত দেওয়া সমীচীন মনে করছি
1 সাধারণ মলনীতি হিসেবে
আললাহর বিধানের কাছে
আতমসমরপণ এতে আললাহ তাlsquoআলার
সঙগে সমপকত সব বিধানই
অনতরভকত চাই সে বিধান সরাসরি
আললাহ করতক পরমাণিত হোক চাই
ইসতিমবাত বা কিয়াসের মাধযমে
পরমাণিত এতে পরোপরিভাবে
আতমসমরপণ করতে হবে
2 অকাটযভাবে পরমাণিত
বিধানগলোতে আতমসমরপণ এতে
আতমসমরপণ করতে হবে
পরশনাতীতভাবে
3 কিছ কিছ ফিকহী সমাধান বা
ইসলামী আইনশাসতরের অভিমতের
কাছে আতমসমরপণ আর এতে
আতমসমরপিত হতে হবে একজন
মসলিমের জঞান (ইলম) অনযায়ী
অগরাধিকার দানের ভিততিতে
নিশচিতভাবে বিশবাসের ভিততিতে নয়
কারণ সননাহ দবারা মতামতের
ভিননতা গরহণযোগয পরমাণিত
অনয দষটিকোণ থেকে বলা রাখা
দরকার যে একটি রাষটরে সরকারি
আদালত থেকে পরকাশিত বিধানগলোর
মধযে যথাসাধয সববিরোধিতা
এড়ানোর পাশাপাশি ঐ রাষটরে
পরচলিত ইজতেহাদী উদধতিগলোর
মধযে সমনবয় সাধনেরও অনমতি
রয়েছে চাই তা নিরভরযোগয পরসিদধ
মাযহাব হিসেবে হোক বা উদধতির
নিরভরযোগযতার ভিততিতে[4] তবে
এর অরথ এই নয় যে সকল বিচারক সব
বিচারে একই ফয়সালায় উপনীত হবেন
কেননা এখানে রায় বিভিনন হওয়ার
মতো অনেক রয়েছে
একজন পরকত মসলিম দঢভাবে
বিশবাস করেন এসব বিধানই
lsquoমকাললাফrsquo সষটির[5] পারথিব শানতি
ও সাফলয নিশচিত করে যখন তাদের
অধিকাংশই তা পালন করেন আর তা
বযকতির দনিয়া ও আখিরাতের
সৌভাগয বয়ে আনে যখন সে এর
অধিকাংশই মেনে চলে অনযকথায়
শরীlsquoআতে ইসলামীর পরভাব শধ
পথিবীর সাময়িক জীবন পরযনতই
সীমাবদধ নয় বরং তা চিরকালীন জীবন
পরযনত পরিবযপত একজন খাৌটি
মসলিমের পকষে এসব বিশবাসের
কোনোটিকেই উপেকষা করা সমভব
নয় সতরাং মসলিমের কাছে যখন
পরমাণিত হয় এসব আইন-কানন
আললাহর পকষ থেকে তখন অবশযই
তাকে তা মানবরচিত সকল আইন-কানন
থেকে শরেষঠ বলে বিশবাস করতে হয়
কারণ আললাহ তাlsquoআলাই মানষের
সরষটা তিনিই ভালো জানেন কীসের
তিনি তাদেরকে নশবর জীবনে ও শাশবত
জীবনে সৌভাগযের অধিকারী বানাবেন
ইসলাম মানষের পারথিব জীবনের নানা
পরযায়ের বিসতারিত ও মৌলিক সব
দিক পরযনত বিসতত এতে রয়েছে
আকীদা ইবাদাত মোয়ামালা তথা
লেনদেন ও সাধারণ আদব কায়দা থেকে
নিয়ে সব কিছ এটিই একমাতর
আসমানী জীবন বযবসথা যা মানষের
সব সমসযার সমাধান দিতে পারে এটিই
একমাতর ধরম যা সরষটা ও সষটির
মাঝে এবং সষটিজীবের পরসপরের মাঝে
সমপরকের ধরণ নিরধারণ করে দিয়েছে
ইসলাম মানব জীবনের এমন কোনো
পরযায় বাদ রাখেনি যার জনয
বিধানদাতা সরষটার একতববাদের
পরতি ইঙগিতবাহী অনযানয পরধান
বিধানসমষটির সাথে সঙগতিপরণ
আবশযক বিধান পরণয়ন করেনি আর
পরধান বিধানটি থাকবে কেনদরবিনদ
হিসেবে যেখান থেকে যাবতীয় শাখাগত
ও বযতিকরম নিয়ম উদভাবিত হবে
অচিরেই বিভিনন বিষয়ের আলোচনার
দবারা সসপষট হবে যে কলপনা ও
বাসতবতার মধযে বযকতি অধিকার ও
সামষটিক অধিকারের মধযে এবং
সাময়িক জীবনের চাহিদা ও চিরসথায়ী
জীবনের চাহিদার মধযে ভারসাময
রকষায় ইসলামই সবচে সফল তেমনি
অচিরে আমাদের সামনে সসপষট
পরতিভাত হবে ইসলামী আইন চৌদদ
শতাবদী আগে যেসব অধিকারের কথা
বলেছে মানব রচিত আইনগলো
সামপরতিক শতাবদীগলোতেই কেবল
তার কথা বলছে উপরনত এর
অনেকগলোই আবার বাসতব কষেতরে
এখনো পরয়োগ হয় নি
ইসলামী শরীlsquoআ ও বাসতবতার
সমপরক
এটা ঠিক মানষকে আললাহ তাlsquoআলা যে
সসথ পরকতি ও অরজিত জঞান দান
করেছেন তা তাদেরকে আললাহ পরদতত
বিধানের গটিকয়ের রহসয অনধাবন
করতে সমরথ করে তাই বলে তারা
আললাহর সব বিধানের রহসয উদধার
বা পরিপরণ জঞানের দাবী করতে পারে
না অনয কথায় বলতে গেলে আললাহ
পরদতত বিধানের গটিকয়ের রহসয
অনধাবন না করতে পারা পরিবরতিত
বাসতবতায় তার অগরহণযোগযতা বা
অকারযকারিতার পরমাণ নয়
যিনি গভীর দষটিতে ইসলামের বিধান
এমনকি ইবাদাতের দিকে তাকাবেন
তিনি লকষয করবেন ইসলামের
বকতবয এবং বাসতবতার মধযে
পারসপরিক পরভাব খব সপষট যেমন
পানির দষপরাপযতায় অয-গোসলের
জনয তায়ামমমই যথেষট তেমনি মকীম
বযকতিকে যোহর আসর ও এশা চার
রাকাত আদায় করতে হয় অথচ
মসাফিরের জনয এ ওয়াকতগলোতে শধ
দrsquoরাকাত আদায়ই যথেষট
যিনি ধারাবাহিকভাবে অহী নাযিলের
দিকে এবং শরীlsquoআতের অনেকগলো
বিধানের দিকে দষটিপাত করবেন
তিনিও ইসলামের বকতবয ও
বাসতবতার মধযে পারসপরিক পরভাব
সসপষট দেখতে পাবেন ইসলামের
বিধানগলো আসমান থেকে অবতীরণ
হয়েছে 23 বছর সময়কালে এবং মদকে
হারাম করা হয়েছে কয়েকটি পরযায়ে
একইভাবে এ পরবণতা পরতিভাত হয়
অনেক বিষয়ে সঙগত কারণে মসলিম
আইন বিশারদদের মাঝে সঙগত
বিরোধের মধয দিয়ে
ইসলামের বকতবয ও বাসতবতার মধযে
পারসপরিক পরভাবকে যকত করা হয়
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামের যগের lsquoনাসেখrsquo ও
lsquoমানসখrsquo-এর সঙগে যেখানে একই
বাসতবতায় নতন বিধান পরাতন
বিধানকে রহিত করে দেয়
পরসঙগত এখানে উললেখ করা
পরয়োজন যে সসপষট বকতবযধারী
নিরদিষট কোনো বিধান বাতিল করা
আর বাসতবায়নের শরত পরণ না
হওয়ায় কোনো বিধান বাসতবায়ন
সথগিত করার মধযে পারথকয রয়েছে
পরসিদধ যেসব অবসথায় বিধান রহিত
না হওয়া সততবেও তার পরয়োগ
সথগিত করা হয়েছিল তার অনযতম
হলো আব বকর রাদিয়াললাহ আনহ-
এর যগে যাকাতের অংশের মধয থেকে
উমার রাদিয়াললাহ আনহ-এর
lsquoমআললাফাত কলবrsquo বা যাদের অনতর
আকষট করতে হয় তাদের অংশ পরদান
সথগিত করা কারণ কিছ কিছ কাফের
ইসলামকে পরতযাখযান অবযাহত রাখা
সততবেও lsquoযাদের অনতর আকষট
করতে হয়rsquo অংশের সযোগ গরহণ করে
আসছিল অথচ ততদিনে সতযের বিজয়
সনিশচিত এবং ইসলাম তার
অনসারীদের নিয়ে শকতিশালী
হয়েছিল[৬] উমার রাদিয়াললাহ lsquoআনহ
ঠিক একইভাবে দরভিকষ ও
মনবানতরের বছর চোরের হাত কাটার
বিধান সথগিত করেছিলেন[7]
উমার রাদিয়াললাহ আনহ একষেতরে
বিধান বাতিল করেন নি যেমন বঝতে
ভালোবাসেন অনেকে ইচছায়-অনিচছায়
তিনি যখন একটি অরহিত বিধানের
বাসতবায়নের শরত অনপসথিত দেখেন
তখন তার পরয়োগ সথগিত করেন
মাতর এ থেকে জানা গেল কোনো
বিধান বাতিল হওয়া আর কিছ শরত না
পাওয়ায় তার পরয়োগ সথগিত করার
মধযে পারথকয বিদযমান
এখানে আরেকটি সনদেহের অপনোদন
জররি উমার রাদিয়াললাহ আনহ যে বনী
তাগলাব গোতরের খরিসটানদের
lsquoজিযয়াrsquo নামক কর অবকাশে সমমতি
দিয়েছিলেন তার মাধযমে কিনত তিনি
আরোপিত কর (ফরয জিযিয়া) বাতিল
করেন নি বরং তা করেছিলেন এর নাম
বদলে পরিমাণ সংশোধনের অভিপরায়ে
কারণ তিনি তাদের থেকে যাকাতের
দবিগণ উসল করেছিলেন[৮] সতরাং
বিধান বাতিল করা আর জনসবারথে
বিধানে ঈষৎ পরিবরতন আনা এক নয়
বরতমানে ইসলামী দেশগলো মসলিম
নাগরিকের ওপর যে কর আরোপ করে
তা অনেক সময় তার এক বছর
অতিবাহিত হওয়া সঞচিত পরো
অরথের সমান হয় এ কষেতরে তাকে
যাকাত দিতে হবে না আবার কখনো তা
তার কিছ সমপদের ওপর আরোপ হয়
এ কষেতরে তার যাকাতের পরিমাণ
কমিয়ে দেওয়া হবে যেমন অমসলিম
নাগরিকদের ওপর আরোপিত জিযয়া
নামক কর কখনো তার বারষিক কর বা
অনয কোনো করের অনতরভকত হয়
আর এটি কদাচিতই জিযয়ার অনরপ
হয়
ইসলামী শরীlsquoআর সথায়িতবের পরধান
কারণ কী কী
এটা ঠিক যে মানষের পারসপরিক
সমপরক সংকরানত বিধানসমহ অনেক
সময় জীবন যাপন পদধতি ও এর নিতয
পরিবরতনশীল উপকরণের দবারা
পরভাবিত হয় কিনত ইসলাম যেহেত
আসমানী সব রিসালাতের
পরিসমাপতকারী এবং এটি সমগর বিশব
মানবতার জনয পরেরিত তাই
বিশবসরষটা আললাহ তাlsquoআলা এর
মধযে এমন কিছ বৈশিষটযের দায়িতব
নিয়েছেন যা একে সরবযগে সরবসথানে
পরয়োগ উপযোগী রাখবে এসব
বৈশিষটযের কিছ নিমনরপ[9]
পরথমত অকাটযভাবে পরমাণিত আইন
সংকরানত বকতবযগলোকে সাধারণ
নীতিমালার ওপর কেনদরীভত রাখা
বিশেষত শরীlsquoআতের পরধান উৎস তথা
আল-করআনে এবং কিছ কিছ হাদীসে
যেমন আললাহর নিরদেশিত বিষয়
পালন ও নিষিদধ বিষয় থেকে বিরত
থাকার গরতব নযায়ানগতা যলম হারাম
হওয়া বযবসা হালাল হওয়া আর সদ
হারাম হওয়া এবং বিবাহকে নারী-
পরষের পারসপরিক সহযোগিতার
পরণতম উপায় বানানো ইতযাদি
দবিতীয়ত এসব আইন সংকরানত
পয়েনট ও মৌলিক নীতিমালা
মকাললাফ মাখলকের পরকতিজাত
মৌলিক উপাদান নিরভর হওয়া যেমন
রহগত জঞানগত অনতরগত ও
অঙগসংশলিষট উপাদান তার মল
পরকতি ও পরমাণিত মৌলিক
পরয়োজনাদি
ততীয়ত ইসলাম কিছ বিষয় বিসতারিত
বলে দিয়েছে বিশেষত সননতে নববীতে
তদপরি এসবকে এমন পরমাণিত বিষয়
হিসেবে গণয করেছে যা পরিবরতন
হবার নয় যেমন মকাললাফ দই সষটি
তথা জীন ও ইনসান অরথাৎ মানব ও
দানবের দনিয়া-আখিরাতের সৌভাগয
বয়ে আনার মৌলিক পরয়োজনাদি
অথবা এমন যা পরিবরতন হওয়া উচিৎ
নয় যেমন অকাটযভাবে পরমাণিত
ওয়াজিব ও হারামসমহ যেগলোকে
পরিবরতনের আওতায় আনা যায়
সেদিকে লকষয করে আমরা এর
নামকরণ করতে পারি lsquoছাওয়াবেতrsquo বা
অপরিবরতনীয় হিসেবে
পরিবরতন যদিও কেবল জীবন পরণালী
ও এর উপকরণকেই সপরশ করে কিনত
তা পরকতির বাইরে না যাওয়া উচিৎ যা
দনিয়ার কলযাণ ও আখিরাতের
সৌভাগযের চাহিদার মধযে ভারসাময
বজায় রাখে আর আললাহ পরদতত
আইনই নিরধারণ করবে কোনোটি
বৈধ পরকতি বিরদধ নয় এবং
কোনোটি মানষের জনয কষতিকারক
এবং তার পরকতি-বিরোধী কারণ এ
মহাবিশবের সরষটাই বিশব চরাচরের
সবার পরকতি বানধব উপায়-উপকরণ
এবং পরকতির সরকষা ও তার সমসযা
দরিকরণের উপায় সমপরকে সবচেয়ে
ভালো জানেন
পকষানতরে বিভিনন কষেতরে মানষের
জঞানগত পারথকযের পরতি দষটি না
দিয়েই বলা যায় যে মানব মনন ও তার
অভিরচিতে সে যোগযতাই রাখা হয় নি
যদবারা সে অজঞাত রহসয বা কারণ
বিচার করতে পারে সতরাং মানষের
জঞান জঞান অরজনের যোগযতা
এবং আশপাশের অনধাবনযোগয বিষয়
সমপরকে তার ধারণা সীমিত আর
অননধাবনযোগয বিষয়ের জঞান তথা
যেসব বিষয় পঞচেনদরীয়ের মাধযমে
জানা যায় না সে বযাপারে মানষ আরও
দরবল এ জনযই সে এর অনেক কিছই
জানে না এমনকি বিসময়কর এই
বৈজঞানিক আবিষকারের যগেও অথচ
সে তা বযবহারে বাধয
চতরথত মহান সরষটা আইনের পরধান
উৎস হিসেবে নিচের উৎসগলোকেও
সবীকতি দিয়েছেন
1 আল-করআন এটি তার বকতবয
ও কাঠামোসহ আললাহ তাlsquoআলার
বাণী একে সরকষিত রাখা হয়েছে
বরণনাকরমে অরথাৎ একজন হাফেয
আরেকজন হাফেয থেকে এভাবে
একাধিক সতরে ধারাবাহিক
বরণনাকরমে তা গিয়ে পৌৌছেছে
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললাম পরযনত তাছাড়া তা
লিখিতভাবেও সংরকষিত হয়ে আসছে
2 সননাতে নববী তা হলো
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামের উকতি করম ও
সমরথন অরথাৎ করআনে যা অবতীরণ
হয়েছে এবং সারা জীবনে তাৌর ওপর
পরোকষভাবে যা অবতীরণ হয়েছে তার
বাসতবায়ন হিসেবে তিনি যা করেছেন
এবং যাতে সমরথন বযকত করেছেন
তার সমষটি আর সননাতে নববীকে
সংরকষণ করা হয়েছে মখসথকরণ ও
সনিরদিষট নিয়মের আলোকে
সংকলনের মাধযমে সংকলক তাৌর
নিজসব নিয়মের আলোকে তা এমনভাবে
সংকলন করেছেন যে তা নিরভল ও
বিচছিনন হাদীছের মধযে পারথকয
নিরদেশে যথেষট উললেখয অধিকাংশ
সননাহই দঢ় নিয়মের আলোকে
সংকলিত হয়েছে
3 ইজতিহাদ এটি মলত বাসতব
জীবনে মানষের নানা সমসযার সমাধানে
করআনল কারীম ও সননতে নববীর
যেসব বকতবয বযাখযার অপেকষা রাখে
তার বযাখযা এবং এতদভয় থেকে
উদভাবনকে অনতরভকত করে অনরপ
করআন-সননাহর বিধি-বিধান
কেনদরীক কিয়াসও এর অনতরভকত
উপরনত তা যেসব বিষয়ে করআন বা
সননাহর কোনো নিকট বা দরতম
ইঙগিতও নেই সেসব বিষয়ে জঞান ও
বদধি বযবহার করে জীবনের নিতয
পরিবরতশীল সমসযা মোকাবিলায়
পরয়োজনীয় বিধানের পরতি
দিকনিরদেশনা পরদান করে তবে তা
এসব বিধান করআনল কারীম বা
সননাতে নববীর কোনো নিরভরযোগয
বকতবযের সঙগে সাংঘরষিক না হওয়ার
শরতে
অনয কথায় এই ইজতিহাদে নিচের
উৎসগলোও অনতরভকত[10] যাকে
আমরা কিয়াস[11] ইসতিহসান[12]
উরফ[13] মাসালেহ মরসালা[14]
সাদদে যারায়েlsquo[15] ও ইসতিসহাব[1৬]
বলে থাকি এসব উৎসের মলে আকবল
বা জঞানই পরধান ভমিকা রাখে তেমনি
ইসলামী আইনকে সথানীয় পরিবেশের
সঙগে মানানসই করতে lsquoউরফrsquo ভমিকা
রাখে
এসব উৎস গরহণযোগয মতামতসমহ
এবং জীবন পরণালী ও এর
উপকরণসমহের নিতযপরিবরতনের
বাসতবতার সঙগে সঙগে বকতবয
কারযকরণে বিভিননতা ও
সথিতিসথাপকতার বযাপক অবকাশ
রাখে
এটি কিনত তার সমপরণ বিপরীত যা
সমপরণরপে তরটিপরণ মানব জঞান
মানব পরকতির মলযবোধের বিকতি
এবং সংখযাগরিষঠের রচি ও পছনদমত
বিধান রপদান নিরভর যে রচি ও পছনদ
কখনো আংশিক কখনো পরোটাই
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে যে পরকতি
দিয়ে সষটি করেছেন তার সঙগে
সাংঘরষিক অতএব ইসলামে
গরহণযোগয ও পরিতাজয ইজতিহাদের
মধযে পারথকযের মানদণড মানষের
সবভাব বা অভিরচি নয় বরং আসমানী
অহী এবং তার আলোকে রচিত
ইজতিহাদ
এখানে আমরা লকষয করি যে
শরীlsquoআতে ইজতিহাদের জনয
মজতাহিদকে কিছ মাধযমের ওপর
পারদরশী হতে হয় কিছ মাধযম কেন
জানা দরকার তা আমরা বঝতে পারি
নিচের দষটানত থেকে
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললাম বলেন
راب أحدكم فليغمسه فإنا raquo إذا وقع الذباب ف
فاء laquoف إحدى جناحيه داء وف الأخرى
ldquoতোমাদের কারও পানীয়তে যদি মাছি
বসে তবে সে যেন তা ডবিয়ে নেয় কারণ
তার এক পাখায় রোগ আছে এবং
আরেক পাখায় পরতিষেধক আছেrdquo[17]
এই হাদীসে lsquoআমরrsquo তথা নিরদেশবাচক
শবদ বযবহত হয়েছে এ থেকে ইসলামী
আইনের মলনীতি সমপরকে জঞান না
থাকায় কেউ মনে করেন এমন
করা বোধ হয় জররি কেউ আবার
আরও দরে চলে গেছেন তার মতে
হাদীসটি আসলে বাজারে উপসথাপিত
খাদয সামগরীর কষেতরে পরিচছননতা
ছেড়ে দেবার বৈধতার পরমাণ এ
বযকতি হয়তো এ কথা বলেছেন
হাদীসটিকে অপমান করার জনয ফলে
হাদীস নয় কেবল তিনিই হয়েছেন
অপমানিত নয়তো তিনি হয়তো
সদদদেশযেই বলেছেন এ কষেতরে
তাকে ইসলামী বিধান বঝার জনয
পরয়োজনীয় বিদযা শিখতে হবে
বসতত এ হাদীস একটি তাততবিক
রহসয উনমোচন করেছে যদি ঐ পানীয়
মানষ পান করতে চায় তাহলে তা থেকে
উপকত হবার পনথা বাতলে দিয়েছে
হাদীসের উদদেশয বাছবিচারহীন সব
খাদযেই এমন করা নয় যা মানষের
জীবনকে হমকির মখে ঠেলে দেয়
অনেক মসলিমও আছেন যারা
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামের এই হাদীস এবং উটের
মতর পান করলে কিছ রোগ ভালো
হবার হাদীসটিকে অদভত মনে করেন
অথচ হাদীস দrsquoটি বিশদধ এই এরাই
আবার উপকারী মানব
আবিষকারগলোয় আসথাবান হন
যেমন তারা অজগরের বিষকে
পরতিষেধক ও পরতিরোধমলক
সবভাবসমপনন টিকা হিসেবে গণয
করেন
এ ধরনের মসলিমদের দেখা যায় তারা
পশচিমা আইন-কানন সমপরকে খব
ভালো জানেন কিনত ইসলামী আইন
বিষয়ে তাদের জঞান একেবারে সীমিত
ফলে তারা অপর আইন সমপরকে
অজঞ যার জঞান ছাড়া এটিকে বিচার
করা সমভব নয় যেমন laquo الناظافة من
পবিতরতা ঈমানের অংশrsquo এবংlsquo laquoالإيمان
lsquo laquoل ضرر ول ضرار raquo (ইসলামে) ঠকানো
বা ঠকা- কোনোটারই অবকাশ নেইrsquo
ইতযাদি হাদীস এমন অনভিপরেত
জটিলতা পরায়ই তখন সষটি হয় যখন
কোনো মসলিম ইসলামী বকতবযের
পরতি দষটিপাত করেন সেকযলার
আইনের দষটিকোণ থেকে ফলে তার
কাছে বিষয়টি ঘোলাটে বলে পরতিপনন
হয় অথচ সে যদি বিষয়টি যথাযথভাবে
ভেবে দেখে তাহলে খব কমই ঐ
বিষয়টিকে অসবীকার করতে পারবে
4 ইজমা এটি ইজতিহাদের মতোই
তবে এটি এমন ইজতিহাদ কোনো যগে
যেমন সাহাবী বা তাবেঈদের যগে যে
বিষয়ে আলিমগণ একমত হওয়ার ফলে
তা আরও জোরালো ও শকতিশালী
হয়েছে শকতির দিক থেকে করআনল
কারীম এবং সননতে নববীর পরই এর
সথান উসলবিদগণ সাধারণত একে
করআন-সননাহর পরই সথান দেন
সতরাং ধারাবাহিক বিনযাস নয় শকতির
সতরই পরচলিত ধারাবাহিকতার ভিততি
এ কারণেই ইসলামী আইনে জীবনের
নিতয নতন সমসযা মোকাবেলায়
যথেষট নমরতা ও উদারতার অবকাশ
থাকায় বিসময়ের কিছ নেই ইসলামী
আইন-কানন যদিও কয়েক শতাবদী
পরাচীন বিধি-বিধান নিরভর কিনত
তাতে এমন কিছ সযোগ বা অবকাশ
রাখা হয়েছে যা সামপরতিকতম
বাসতবতাতেও পরয়োগযোগয এই
অবকাশ ও পরশসততা বঝা যায় নিচের
ধারাগলো থেকে
1 কিছ বকতবয সমরথন ও
পরতযাখযান কিংবা দই বকতবযের
মধযে অগরাধিকার দানের বেলায় মতের
সবীকত বিভিননতা আর বকতবয
যাচাইয়ের জনয তরটিপরণ মানবিক
জঞানে সীমাবদধ থাকা যথেষট নয়
নতবা অনেক কিছকেই অসবীকার করতে
হবে এমনকি গবেষণামলক
আবিষকারগলোকেও যেমন
মারণবযাধি মোকাবেলায় পরাণবিনাশী
অজগরের বিষ বযবহার ইতযাদি
অতএব নিরভরযোগয বরণনা বা
পরচলিত কথাতেও আসথা রাখার
বিকলপ নেই
2 বকতবয বযাখযা এবং তা থেকে
উদভাবনের কষেতরে সবীকত
বিভিননতা কারণ পদধতি কখনো
বিভিনন হয় যদিও তা অলপই হয়
তেমনি তথয ও মতামতে বযকতিগত
পরেকষাপট ও পরবেশপথ বিভিনন হয়
বিভিনন হয় বকতবযের পরবাপর
সমপরকে অবগতি এবং যে ভাষায়
বকতবয পরদতত হয়েছে তা অনধাবনের
যোগযতা
3 পরকত অবসথা নিরণয়ে সবীকত
বিভিননতা বহ মানষ পরযাপত সকষম
মাধযম বযবহার করে এমনকি
ইনদরিয়গরাহয বসততে পরযনত
পরকত অবসথা নিরণয়ে মত ভিননতার
জনম দেয়
4 বকতবয ও বাসতবে পরয়োগে
সবীকত বিভিননতা এর উদাহরণ
lsquoকিসতিতে বিকরির কষেতরে কি সদের
হকম পরযোজযrsquo কারণ বসতত
বিকরেতা এখানে একটি বযাংকের মতো
সমপদ লেনদেন করে অথচ তা বাইয়ে
lsquoঈlsquoনাrsquoয় সদ হবে না তেমনি lsquoসব
ধরনের পরতিযোগিতাই কি নিষিদধ
জয়ার অনতরভকতrsquo ইতযাদি
5 মাধযমিক উৎস নিরবাচনে
সবীকত বিভিননতা যেমন ইসতিহসান
মদীনাবাসীদের আমল সাহাবীদের
উকতি ও পরববরতীদের শরীlsquoআত
ইসলামে মানবাধিকার
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে বিশেষ কিছ
বৈশিষটযে ভষিত করেছেন তিনি ইরশাদ
করেছেন
هم ف ٱلبر وٱلبحر ﴿ولقد ءادم وحملن منا بن كرا
ن ما لى كثير م هم لن ت وفضا ي ب ن ٱلطا هم م ورزقن
[٧٠]السراء ﴾ ٧٠خلقنا تفضيل
ldquoআর আমরা তো আদম সনতানদের
সমমানিত করেছি এবং আমরা তাদেরকে
সথলে ও সমদরে বাহন দিয়েছি এবং
তাদেরকে দিয়েছি উততম রিযক আর
আমি যা সষটি করেছি তাদের থেকে
অনেকের উপর আমি তাদেরকে অনেক
মরযাদা দিয়েছিrdquo [সরা আল-ইসরা
আয়াত 70]
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে পথিবীতে
তাৌর খলীফা বানিয়েছেন[1৮] তাদেরকে
পথিবীর উততম বসত থেকে উপকত
হবার এবং তা বযবহার করে পারথিব ও
চিরসথায়ী জীবনের কলযাণ অরজনের
সবাধীনতা দিয়েছেন পাশাপাশি তিনি
তাদেরকে এ পথিবী আবাদ করা এবং
এতে ইনসাফ পরতিষঠার দায়িতবও
দিয়েছেন
তিনি সকল মানবকে একই উপাদান তথা
মাটি দিয়ে সষটি করেছেন[19] অতপর
এক পিতা ও এক মাতা থেকে তাদের
সংখযা করমে বাড়াতে লাগলেন[20]
তাইতো রাসলললাহ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললাম বলেছেন
يا أيها النااس إنا رباكم واحد وإنا أباكم واحد raquo
لى أ ول لعجم جم لى ل ل فض لعرب
لى لى أسود ول أسود ول لأحمر رب
laquoأحمر إلا بالتاقوى
ldquoহে লোকসকল তোমাদের রব এক
তোমাদের পিতা এক মনে রেখো
অনারবের ওপর আরবের কোনো
শরেষঠতব নেই আরবের ওপর
অনারবেরও কোনো শরেষঠতব নেই
কালোর ওপর লালের কোনো
শরেষঠতব নেই আবার লালের ওপর
কালোরও কোনো শরেষঠতব নেই
শরেষঠতব কেবল তাকওয়ার
ভিততিতেrdquo[21]
হাদীসে উললিখিত এই সামযের আহবান
কিনত বহল উচচারিত সাধারণ
মানবাধিকারের শলোগানের মতো নয়
এর তাৎপরয ও বৈশিষটয হলো তা
কথার নয় কাজের
মানষকে সমমানিত করার অংশ হিসেবে
আললাহ তাlsquoআলা তাকে সরবোততম
অবয়ব দিয়ে সষটি করেছেন[22] এবং
তার পিতামাতার ওপর তার একটি
সনদর নাম রাখা ওয়াজিব করে
দিয়েছেন সননত করেছেন সনতানের
শভাগমনের আননদ উদযাপন করা এবং
এজনয তাৌর উদদেশযে করবানী করা
অতঃপর তাদের ওপর তাকে সনদরভাবে
লালন-পালন অপরিহারয করেছেন যাতে
সে দনিয়া ও আখিরাতে সফল লোকদের
অনতরভকত হতে পারে পাশাপাশি তিনি
তার জনয নানা সামাজিক অধিকারও
সংরকষণ করেছেন[23]
ইসলামে ইনসাফ ও সমতার অরথ
ইসলামে ইনসাফ ও সমতার মধযে
পারথকয রয়েছে ইনসাফ বযাপক আর
সমতা বা সাময আপেকষিক আবার
সাময তখনই ইনসাফ হবে যখন তা হবে
আপেকষিক
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে সষটি
করেছেন তাদের দিয়েছেন জনমগত দান
(যেমন জঞান) ও অরজনীয় দান (যেমন
উততরাধিকারযোগয সমপদ) অরজনের
বিশেষ সযোগ যাতে একটি আরেকটির
সমপরক হয় এটি কিনত ইনসাফ
পরিপনথী নয় সাধারণ সমতা ইনসাফ
থেকে সমপরণ ভিনন একটি জিনিস বরং
সমতার কিছ পরকার আছে সমপরণ
ইনসাফ পরিপনথী যেমন অলস ও
করমঠের মধযে সমতা মেধাবী ও
মেধাহীনের মধযে সমতা ছাতর ও
শিকষকের মধযে সমতা পিতা ও পতরের
মধযে সমতা পরিবারের সদসয ও
পরিবার বহিরভত লোকের মধযে সমতা
এবং সবদেশি ও বিদেশির মধযে সমতা
এ জনযই পরীকষা আর এ জনযই
পারথকয নিরণায়ক সসথ
পরতিযোগিতা সবার দষটিতে বৈধ এ
জনযই কারো পরতি কাউকে আনগতয
পরদরশন করতে হয় যাতে বজায় থাকে
সমাজ রাষটর ও পথিবীর শঙখলা
মসলিম ও অমসলিম সমাজে এ বযাপারে
কোনো পারথকয নেই
উততম-অনততম নিরণয়ের বেলায়
যদিও অরজনীয় গণাবলির কষেতরে
উননতির দরজা খোলা আর
উততরাধিকারসতরে পরাপত গণাবলির
কষেতরে দবার বনধ তথাপি উভয় গণের
পরিমাণ অনপাতে তার দায়িতবও বেশি
হয়ে থাকে যেমন ধরন যার মেধা ও
জঞান বেশি নিজ ও সমাজের পরতি তার
দায়িতবও বেশি অনরপ যার বিতত ও
সমপদ অধিক তার দায়িতবও বড়
সতরাং কেবল তলনামলক সমতাই পারে
ইনসাফ পরতিষঠা করতে অতএব
পরতযেক বযকতিকে তার পরাপয বা
তার পরকতির যোগয বিষয় দেওয়ার
নামই ইনসাফ পরাকতিকভাবে ভিনন
মানষগলোর মধযে সমতা পরতিষঠার
নাম ইনসাফ নয় (যেমন নারী-পরষ
পিতা-পতরের মধযে কালগত
অগরাধিকার বা অরজিত গণ যথা অলস
ও পরিশরমী)
অতএব বিচারে ইনসাফপরণ সমতার
ভিততি চড়ানত অরজন নয় বরং পরাপত
যোগযতার সঙগে তলনামলক লবধ
চেষটা অনযভাবে বললে পরদতত
যোগযতার চেয়ে বযয়িত পরচেষটা
নিরভর বিচারের নামই ইনসাফ[24]
অনরপভাবে ইসলামে ইনসাফেরও দাবী
সষটিজীবের অধিকারগলোর কোনো
পরণ পরতিদান চড়ানত পরিণাম বা
ইনসাফপরণ দায়মকতির বযবসথা
থাকা তাইতো ইসলামের ইনসাফ
ইহকালীন জীবনকে পরণ গলপ মনে
করে না বরং পরকালীন জীবনকে
বিকলপহীন পরিপরক অংশ গণয করে
দেখবেন ইহকালে ভাগযবান বযকতি
উললেখযোগয কোনো কষট-চেষটা
ছাড়া পারথিব সব সখে ডবে থাকে অথচ
কোনো পরাণপণ চেষটাকারী বযকতি
তার চেষটার উপযকত পরতিদান লাভের
আগেই মরে যায় দনিয়ায় কখনো
নিপীড়ক তার নিপীড়নের মাধযমে সখী
হয় বেৌচে যায় তার উচিৎ সাজা থেকে
অথচ নিপীড়িত বযকতি তার পাওনা বঝে
পাবার আগেই বিষণণ বদনে ঢলে পড়ে
মতযর কোলে
এ থেকেই চড়ানত জীবনে বযাপক
ইনসাফপরণ হিসাবের পরয়োজন
অনভত হয় যেখানে তরটিকারী
তার উচিৎ শাসতি ভোগ করবে
(অবশয আললাহ যদি কষমা করেন
তবে তা ভিনন কথা) আর পরিশরমকারী
তার পরতিদান লাভ করবে হিসাব ছাড়া
অতএব আখিরাতেই হবে সষটিজীবের
পরাপযের বযাপক পরণাঙগ ও চড়ানত
বণটন
ইসলামে সবাধীনতার অরথ
ইসলামে সবাধীনতা বলতে
নাসতিকযবাদী শলোগানগলোর মতো
অনিয়নতরিত বা নামমাতর নিয়নতরিত
সবাধিকার বঝায় না ইসলাম একটি
বাসতববাদী ও বযাপক দষটিভঙগির
ধরম এতে তাই সবাধীনতা একটি
আপেকষিক বিষয় কেননা মানষ
আললাহ করতক নিয়নতরিত
সবয়ংকরিয় নিয়মের এক বিশাল জালের
ভেতর আবদধ যা এ মহাবিশবকে
নিয়নতরণ করে আললাহ তাlsquoআলাই
মহাবিশব সষটি করেছেন এতে যা কিছ
হচছে তা সরাসরি তাৌর নিরদেশ কিংবা
তাৌর সষট সবয়ংকরিয় নিয়মের
মাধযমেই পরিচালিত হচছে এ
মহাবিশবে কোনো কিছই তাৌর নিরদেশ
বা ইঙগিত ছাড়া হয় না আর তিনি তাৌর
সষটির ওপর পরণ কষমতাবান
তবে এর অরথ এই নয় যে আললাহ
তাlsquoআলা দনিয়াতে মানষের জীবন
পরণালী কেমন হবে সে রায় দিয়ে
দিয়েছেন অনেকে যেমন তাকদীরের
ইসলামী আকীদাকে এভাবে সংজঞায়িত
করে থাকেন বসতত তাকদীর হলো
বানদার যাবতীয় কাজ-করমের পরব
লিখন যা কেবল সরষটার নিরংকশ
জঞান নিরভর এটি এমন এক জঞান
যা কোনো সথান কাল বা সসীম
ইনদরীয়ের মধযে সীমাবদধ নয় এমন
জঞান যা সরবসথান ও সরবকালের সব
বসতকে পরণভাবে বেষটন করে
রেখেছে[25]
মানষের সবাধীনতা দায়বদধ তার
সরষটার পরতি যিনি তাদেরকে
বানিয়েছেন পথিবীতে তাৌর বানদারপে
যিনি সকল সষটিকে করেছেন তাদের
অনগত অগণিত সষটিকে তিনি মানষের
বশীভত বানিয়েছেন যাতে তারা সাময়িক
জীবনে এসবকে নিlsquoআমত হিসেবে গরহণ
করে এসবকে বশে এনে যাতে অরজন
করতে পারে পরকালীন জীবনের শাশবত
সখ মৌলিকভাবে এ দায়িতব বরতায়
তার আকল-বদধি হেদায়াত-সপথ
(আসমানী শিকষা) এবং অনিবারয
পরিণামধারী উপকরণ নিরবাচনের
সবাধীনতার ওপর একইভাবে সে নিজের
পরতি এবং অনযানয সষটির পরতিও
দায়বদধ
লকষণীয় বযাপার হলো সাধারণ
অবসথায় মানষের পকষে মহাজাগতিক
নিয়মের বাইরে যাওয়া সমভব নয়
কিনত সে আসমানী শিকষাকে উপেকষা
করতে পারে যদিও তা হবে বিশেষভাবে
চিরসথায়ী জীবনে তার
পরতযাবরতনসথলের হিসাবে সতরাং
সবাধীনতা মফতে আসবে না আর
মফতে তা সংরকষণ করা সমভবও নয়
এক ধাপ এগিয়ে বলা যায় মানষের
সবাধীনতা যে জনসমষটির মধযে সে
বাস করে তার বিশবাস ও
চেতনার সঙগে জড়িত চাই সে
জনসমষটি পরিবার হোক কিংবা সেই
করমসথল সংগঠন হোক আর যা
বযকতির কষেতরে পরযোজয তা
সংখযালঘদের কষেতরে পরযোজয
সাধারণ বযাপারগলোতে তারা
সংখযাগরিষঠদের মতের অনসারী
একটি দেশে একটি জনসমষটির
কষেতরে যা পরযোজয বিশব-সমাজ বা
আনতরজাতিক কষেতরেও তাই
পরযোজয
চকতির নিয়ম হলো মানষ যখন সদসয
হিসেবে সবিধাদি ভোগ করার জনয
সবেচছায় কোনো কিছ নিজের জনয
অপরিহারয করে নেয় কিংবা কোনো
জনগোষঠীর সঙগে সংশলিষট হয়
তখন তাকে চকতির সময়সীমা
অতিকরম কিংবা দবিতীয় পকষের
চকতি পরতযাহার পরযনত এর
ধারাগলো মেনে চলতে হয় অনযথায়
তাকে ভোগ করতে হয় শাসতি
এসব চকতি সততবেও মানষের অনেক
বিষয়ে পরযাপত সবাধীনতা রয়েছে
নশবর ইহকালের বিচারে কিংবা শাশবত
পরকালের মানদণডে ভালো-মনদ
গরহণের সবাধীনতা ছাড়াও মানষ
বহবিধ সবাধীনতার অধিকারী এসবই
গরহণীয় বা অগরহণীয় বিভিননতা ও
বৈচিতরযের পরিচায়ক
সতরাং বৈষময ও বিভিননতা মানব
সমাজের কলযাণ সাধনে অনযতম
অপরিহারয পরাকতিক গণ
অনযথায় মানষের জররি পরয়োজনাদি
ও সখ-সমদধি অরজনে সহজাত
সমপদগলোকে কাজে লাগাতে
পরেরণদায়ী পরতিযোগিতা দরবল হয়ে
পড়বে তাছাড়া মানষের পরিচয় ও
পারসপরিক সহযোগিতার জনযও এই
বিভিননতা অপরিহারয আললাহ
তাlsquoআলা বলেন
ن ذكر وأ كم م أيها ٱلنااس إناا خلقن كم ﴿ي نثى وجعلن
كم أتقى ند ٱللا إنا أكرمكم عوبا وقبائ لتعارفوا
ليم خبير [١٣]الحجرات ﴾ ١٣إنا ٱللا
ldquoহে মানষ আমরা তোমাদেরকে এক
নারী ও এক পরষ থেকে সষটি করেছি
আর তোমাদেরকে বিভিনন জাতি ও
গোতরে বিভকত করেছি যাতে তোমরা
পরসপর পরিচিত হতে পার তোমাদের
মধযে আললাহর কাছে সেই অধিক
মরযাদাসমপনন যে তোমাদের মধযে
অধিক তাকওয়া সমপনন নিশচয়
আললাহ তো সরবজঞ সমযক
অবহিতrdquo [সরা আল-হজরাত আয়াত
13]
নাগরিকের বাক সবাধীনতা
অনেক মসলিমই মনে করেন তার
পরিপারশবের সবিশেষ পশচিমা সমাজের
সফল সংগঠনগলোই কেবল মানষের
সখ-সমদধি বাসতবায়ন করতে পারে
কেননা এসব সংগঠন বযকতির চিনতা
ও মতামতের সবাধীনতায় বিশবাসী
আমরা যদি এসব মসলিমকে জিজঞেস
করি সতযি করে বলন তো আপনারা
কি এসব সমাজে বিদযমান বলগাহীন
সেই সবাধীনতা পছনদ করেন যা
পরকালের অননত জীবন বরবাদ করার
মতো কাজেরও সযোগ দেয়
সবভাবতই তাদের উততর হবে না
আর যদি বাক সবাধীনতার উদদেশয হয়
(কথা ও কৌশলের মাধযমে) সৎ কাজের
আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধের
অধিকার তবে মসলিমদের তো
কোনো বিদেশি সমাধান আমদানী
করার পরয়োজন নেই এ অঙগনে
তারাই বরং অগরগামী বিশেষত
কষমতাসীনদের ইষট কামনায়[2৬]
হযা এখন মসলিমদের দরকার কেবল এ
ধরমীয় দায়িতব পালনে এগিয়ে আসা এ
অরথে বাক সবাধীনতা কোনো
মসলিমের শধ অধিকার নয় যাকে সে
উপেকষা করতে পারে বরং তা তার
ধরমীয় করতবয তার বিশবাস ও
ঈমানই তাকে এ কাজে উদবদধ করে
তবে এ দায়িতবটক পালন করতে হবে
ইসলাম করতক নিরধারিত মলনীতির
আলোকে এ মলনীতির সবচে
গরতবপরণ দিক হলো তা করআন
সননাহ ও মসলিম উমমাহর আলিমদের
সরবসমমত মত বা তাদের lsquoইসতিমবাতrsquo
তথা ইসলাম বিষয়ক মাসআলা উদভাবন
নীতির পরিপনথী না হতে হবে পরনত
তা এমন পদধতিতে সমপাদিত হতে হবে
যা কোনো মানব সমাজের কলযাণ
সাধন বা তা রকষার সবয়ংকরিয়
পরয়োজনের উদদেশয বাসতবায়ন
করে এ পদধতির সবচে গরতবপরণটি
হলো তা হতে হবে উততম ও সনদর
উপদেশমলক এবং সমাজের
সামরথযবানরা এ দায়িতব পালনে
কোনো গাফিলতি করতে পারবে না
যদিও তাদের হতে হয় কষটের
সমমখীন এদিকে সমাজের দায়িতব
তাকে পরয়োজনীয় পরশিকষণ দান
এবং এর উৎকরষ সাধনে পরয়োজনীয়
পরিবেশ নিশচিত করার মাধযমে তাকে
উৎসাহিত করা এ পরিবেশের দাবি
একটি সীমিত গোষঠীকে নিষপাপ মনে
করে কিংবা কেবল তাদেরই দায়িতব
অনযের নয় ভেবে এ কাজকে পরোপরি
সীমিত না রাখা কারণ তারাও
মখাপেকষী অনযের উপদেশের
পরিবারের কষেতরে যেমন এতে এমন
কেউ নেই যে তার সদসযবরগকে পিতার
অজঞাতে চপিসারে অধঃপতন থেকে
রকষা করবে যেমন তাদেরকে সমগর
পরিবারের কলযাণে দমন বা পীড়নের
ভয় ছাড়া পরামরশ নিজসব চিনতা বা
মতামত দানের অনমতি পরদান করা
এতে দেখা যাবে তার কিছ মতামত
অপকক কিছ ভাষা শিষটাচার
পরিপনথী তথাপি তা পরিবার ও পরিবার
পরধানের জনয lsquoসব কিছ মনের মতোrsquo
নামের কলপনার রাজযে বাস করার চেয়ে
শরেয় যা মলত অনধকারে ঢিল ছোড়ার
নামানতর কারণ উনমকত আচরণের
মধয দিয়ে গরতর হয়ে ওঠার আগে
অপরিণত বয়সেই তার ভলচক সমপরকে
জানা যায় ফলে অবকাশ থাকে তা শধরে
দেওয়ার পকষানতরে যা অজঞাতে-
অগোচরে চলছে তা তো নিয়নতরণ ও
পরতিরোধের যথাযথ পরব পরসতততি
ছাড়া বেড়ে ওঠা কযানসারের মতো
অনযকথায় ভয়াবহ কষতি ডেকে আনা
গপত দোষ পষে রাখার চেয়ে ঢের
ভালো বযকত হলেই বাতাসে মিলিয়ে
যাবে এমন ঈষৎ কষতি মেনে নেয়া
সতরাং কোনো কলযাণ অরজন হয় না
নিছক মোকাবেলা ছাড়া এ দষটানত
যেকোনো মানবগোষঠীর কষেতরে
সঠিক চাই তা ছোট হোক বা বড়
ইসলামে দাসতব বলতে কী বঝায়
ইসলামের আবিরভাবকালে বিশবসমাজে
যদধবনদিদের দাস বানিয়ে নেয়ার
রেওয়াজ চাল ছিল[27] ইসলামের
আগমনের পরও কয়েক শতাবদী
পরযনত এ রেওয়াজ অবযাহত ছিল
সতরাং ইসলাম যখন শতরদের সঙগে
তাদেরই অনরপ আচরণ করতে গিয়ে
যদধবনদিকে দাস বানানোর অনমতি
পরদান করে যাতে মসলিমরা তাদের
শতরদের মোকাবেলায় কোনোঠাসা না
হয়ে পড়ে তাতে বিসময়ের কিছ নেই এ
দাবির সপকষে লকষণীয় যে সে যগে
তৎকালে দাস বানানোর বৈধ নানা উৎস
ছিল সেসবের মধয থেকে ইসলাম শধ
যদধবনদিকেই গোলাম বানানোর
অনমতি দিয়েছে[2৮] তব এ উৎসকে
জায়িয বা বৈধ বলেছে ওয়াজিব বা
জররী বলেনি অরথাৎ যদধবনদিকে
দাস বানানো আবশযক করা হয় নি
বরং মসলিম বিচারক বা মসলিম
সরকারকে অবকাশ দেওয়া হয়েছে
তাদেরকে গোলাম বানিয়ে নেওয়া
মকতিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়া কিংবা
মকতিপণ ছাড়াই[29] তাদের সবাধীন
করে দেওয়ার মধযে যেকোনো সযোগ
গরহণের ফলে যদধবনদিদের সঙগে
আচরণের আনতরজাতিক রীতিনীতি
পরিবরতনের সঙগে ইসলামের
ভরাততবের মলনীতিতে পরতযাবরতনের
সযোগ এসেছে
ইসলামের পরকত মরম হলো দাসতব
কেবল আললাহর জনয সংরকষিত
একমাতর আললাহ তাlsquoআলাই সবার
মালিক মানষের সঙগে মানষের
সমপরক দাসতবের নয় ভরাততবের
মানষের সঙগে মানষের পারথকয
নিরপিত তাকওয়ার মানদণডে আর
তাকওয়া একটি বযকতিগত অরজন
মানষ বা সষটিজীবের পকষে পারথিব
জীবনের কোনো নিশচিত গণ দেখে তা
নিরধারণ করা সমভব নয় সমভব নয়
কাউকে তাকওয়া দান করা বা এর
উততরাধিকার বানানো[30] এ জনযই
ইসলাম দাস-দাসীর সঙগে সনদর
আচরণ করতে উদবদধ করেছে
তাদেরকে আখযায়িত করেছে আপন
মনিবের ভাই হিসেবে শধ তাই নয় বরং
তাদের বংশকে lsquoওয়ালাrsquo[31] পদধতির
মাধযমে মনিবের বংশের সঙগে মিলিয়ে
দিয়েছে সমপরকের মরযাদার দিক দিয়ে
যা পরায় সবংশীয়ের মতো এমনকি
তাদের অনেকে মাতর কয়েক যগের
বযবধানে নিজ মনিব সমপরদায়ের
শাসক ও পরিচালকে পরিণত
হয়েছে[32]
তাছাড়া ইসলাম দাসপরথাকে পরাকতিক
নিয়ম বলে সবীকার করে না বরং একে
বযতিকরমী অবসথা বলে গণয করে এ
অবসথা বদলাতে ইসলাম পরজঞার
সঙগে কাজ করেছে যাতে লোকসমাজে
সমপরকের পরচলিত নিয়ম ও বিদযমান
বাসতবতার মধযে ভারসাময বজায়
থাকে এ কারণেই ইসলাম সথায়ীভাবে
দাসপরথা নিরমলে পরয়োজনীয় বিধি ও
আইন পরণয়ন করেছে দাসতবের
একমাতর বৈধ উপায় বনধ হবার পর
ইসলাম নানা উপায়-উপলকষে দাসতবের
নিয়ম তলে দিয়েছে এসব উপায়ের মধযে
রয়েছে বিভিনন পাপের কাফফারা
(কষতিপরণ) সবরপ পরদেয় তিনটি
সযোগের পরথমটি করা হয়েছে গোলাম
আযাদ করা তেমনি যে দাস তার
দাসতবের মলয পরিশোধ করে সবাধীন
হতে চায় তাকে সাহাযয করতে উদবদধ
করেছে এমনকি বাইতল মাল বা
রাষটরীয় কোষাগার থেকে তা
পরিশোধের অবকাশ পরযনত দিয়েছে
গোলাম আযাদ করাকে বড় নেকির
কাজগলোর মধযে অনযতম ঘোষণা
করেও দাসতব নিরমলের পথ সগম
করেছে শধ তাই নয় যে বাদী তার
মনিবের সনতান জনম দিয়েছে মনিবের
মতযর পর তার মকতিপরাপতিও
নিশচিত করেছে[33]
লকষণীয় বিষয় হলো পাপের
দায়মকতির কষেতরে দাস মকতিই
কিনত একমাতর বিকলপ নয় বরং এ
কষেতরে গোলাম আযাদ করা
মিসকীনকে আহার করানো অথবা
সাওম পালন করার সযোগও রাখা
হয়েছে[34] কারণ দাস-দাসী কোনো
সথায়ী বযবসথা নয় কেননা এমন দিন
আসবে যখন কাফফারা ওয়াজিব-
বযকতি মকত করার মতো কোনো
দাসই খৌজে পাবে না
রাজনৈতিক সংগঠন সমপরকে ইসলাম
যেকোনো বযবসথাই গড়ে ওঠে দrsquoটি
উপাদান সহযোগে আদরশ বা মলনীতি
এবং করমপনথা বা করমসচি ইসলাম
সামাজিক সংগঠন (বিশেষ সংসথা ও
ফাউনডেশন) এবং রাজনৈতিক
সংগঠনের (দল ও সাধারণ সংগঠন)
পালনীয় মলনীতি পরণয়ের কষেতরে
নিরদিষট কোনো আচার বা করমসচি
দেয় নি এটিকে সংশলিষট যগ ও
সথানের ওপর ছেড়ে দিয়েছে যাতে তারা
নিজেদের পরয়োজন ও বাসতবতার
আলোকে তাদের করমসচি ও লকষয
নিরধারণ করতে পারে[35]
এ মলনীতি পরতযেক সথান ও কালের
উপযোগী কারণ তা মানষের সহজাত ও
মৌলিক সকল উপাদানের পরতি লকষয
রাখে আসলে পরায় কষেতরে সেটিই
উততম করমপনথা বিবেচিত হয় যা
বিদযমান নীতি ও নিতয পরিবরতনশীল
পরয়োজনের পারসপরিক পরভাবের
সমনবয়ে গঠিত হয় পারসপরিক এই
পরভাবের হার জীবনের পরবের
বিভিননতা ভেদে বিভিনন রকম হয়
আর রাজনৈতিক সংগঠনের বেলায়
কথাটি অনযসব কষেতরের চেয়ে বেশি
পরযোজয
ইসলাম সংঘবদধতা ও সংগঠনের পরতি
গরতবারোপ করে তেমনি গরতব
পরদান করে দলের পরধান নিরবাচনে
যদিও তা অনযন দই সদসযের দল হয়
ইসলামের এ গরতব ফটে ওঠে জামাতের
সঙগে নামাজ আদায় এবং দrsquoজন সফর
করলেও তাদের মধযে একজনকে নেতা
নিরবাচনে উদবদধ করার মধয দিয়ে
অনরপ মসলিমদের জামাlsquoআতে
সমপকত হতে এবং এক কালেমায়
সমবেত হতে উৎসাহিত করার মাধযমে
যেমন আললাহ তাlsquoআলা বলেন
﴾ قوا جميعا ول تفرا تصموا بحب ٱللا ]ال ﴿وٱ
[١٠٣مران
ldquoআর তোমরা সকলে আললাহর
রজজকে দঢ়ভাবে ধারণ কর এবং
বিভকত হয়ো নাrdquo [সরা আলে ইমরান
আয়াত 103]
সরবসাধারণকে কলযাণ-কাজে
পরসপরের সহযোগী হতে অনপরাণিত
করতে গিয়ে আললাহ তাlsquoআলা বলেন
لى ول تعاونوا لى ٱلبر وٱلتاقوى ﴿وتعاونوا
﴾ ن وٱتاقوا ٱللا ثم وٱلعدو [٢دة ]المائٱلإ
ldquoসৎকরম ও তাকওয়ায় তোমরা
পরসপরের সহযোগিতা কর মনদকরম
ও সীমালঙঘনে পরসপরের সহযোগিতা
করো না আর আললাহকে ভয় করrdquo
[সরা আল-মায়েদাহ আয়াত 2]
ইসলাম ভিনন ধরমাবলমবীদের সঙগেও
পরসপর কলযাণকরমে সহযোগিতার
শিকষা দেয় এর সবচে উজজবল
দষটানত মদীনায় ইয়াহদী ও
মশরিকদের সঙগে সমপাদিত
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামের সনধি চকতি[3৬]
অমসলিমদের সঙগে সদাচারের পরতি
তাগিদ দিতে গিয়ে আললাহ তাlsquoআলা
বলেন
ين ول تلوكم ف ٱلد ن ٱلاذين لم يق كم ٱللا م ﴿لا ينهى
وهم وتقسطوا إليهم إنا ركم أن تبر ن دي يخرجوكم م
يحب ٱلمقسطين [٨]الممتحنة ﴾ ٨ٱللا
ldquoদীনের বযাপারে যারা তোমাদের
বিরদধে যদধ করে নি এবং
তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর
থেকে বের করে দেয়নি তাদের পরতি
সদয় বযবহার করতে এবং তাদের পরতি
নযায় বিচার করতে আললাহ
তোমাদেরকে নিষেধ করছেন না নিশচয়
আললাহ নযায়পরায়ণদের
ভালোবাসেনrdquo [সরা আল-মমতাহিনা
আয়াত ৮]
মলনীতির দিক থেকে ইসলাম ও অনয
রাজনৈতিক সংগঠনের মধযে সাদশয ও
সাযজযপরণ অনেক দিক রয়েছে তবে
ইসলামী বযবসথায় খরিসটধমীরয়
বযবসথার সঙগে কিছ দিকের এবং
ধরমনিরপেকষ গণতনতরের সঙগে
অনয কিছ দিকের পারথকয রয়েছে
পারথকযের পরধান দিকগলো
নিমনরপ
1 মধযযগে খরিসটধরমের নামে চাল
থাকা রাজনৈতিক বযবসথাটি ছিল মলত
মানষ-সমবনধীয় তবে তা ঐশী গণের
পরণ ধারকও ছিল বিচারকই ছিলেন
সেখানে বিধান পরণেতা ও চড়ানত
বিধাতা পকষানতরে ইসলামী বযবসথায়
বিচারক ও বিচারপরারথী উভয়ই
যথোচিত পনথায় সবতনতরভাবে
আললাহর আইনের পরতি বিনীত
অরথাৎ ইসলামে এরা উভয়ে
মৌলিকভাবে শরীlsquoআতে রববানী বা
আললাহর বিধানের কাছে দায়বদধ হযা
মানষকে সালিশ নিযকত করার অবকাশ
দেওয়া হয়েছে সীমিত পরযায়ে আইনের
বিসতারিত পরয়োগ অথবা সরষটার
সঙগে বকতবযের সমপকততা নিয়ে
মতবিরোধ কিংবা বকতবযের মরম
অনধাবন ঘটনা নিরণয় বা ফয়সালা
পরয়োগ নিয়ে মতানৈকযের কষেতরে
2 নাসতিকযবাদী গণতনতর ও
সমাজতানতরিক বযবসথায়
সংখযাগরিষঠের হাতে আইন পরণয়নের
ভার ছেড়ে দেয় হয়েছে চাই তা সতয
কতরিম বা পরবঞচনাপরণ হোক না
কেন এতে ধরমকে শধ আকীদা-বিশবাস
ও ইবাদাত-বনদেগী পরযনত সীমিত
রাখা হয়েছে পকষানতরে ইসলামী
বযবসথায় আকীদা-বিশবাস ইবাদাত-
বনদেগী ও বিচার-আইন (যেমনটি পরবে
বলা হয়েছে) সবগলোই পরতযকষ বা
পরোকষভাবে মহাবিশবের সরষটার
পরতি বিনীত পরতিটিই পবিতর
করআন ও হাদীসে এসে সমরপিত
করআন-সননাহে পরাজঞ এবং মানব-
জীবনের পরতিটি অবসথা সমপরকে
অভিজঞ হককানী আলিমগণ এসবের
বিধি-বিধান পরণয়ন করেন
পাশাপাশি এও বলা যায় বিনযসত
গঠনমলক সমালোচনা (যা আসলে lsquoসৎ
কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধrsquo-
এর অনতরভকত) একটি ধরমীয়
দায়িতব সমমিলিতভাবে এ কাজ
পরিহারের কোনো অবকাশ নেই
অপরদিকে গণতনতরে অবিনযসত
সমালোচনা বযকতির এমন অধিকার
যা সে ছেড়ে দিতে পারে
তেমনি ইসলামী বযবসথায় শরা (মতামত
দিয়ে অংশগরহণ) যোগযতা তথা
শরীlsquoআত বা বিচার সংকরানত জঞানে
গভীর বযৎপততিনিরভর এ দই
বৈশিষটযের অধিকারী হলেই কেউ শরার
সদসয হতে পারেন চাই তিনি পরষ
হোন বা নারী আর ছোট হোন বা বড়
এক কথায় এখানে মানদণড হলো
নিরদিষট কষেতরে পারদরশিতা
পকষানতরে গণতনতর ও
সমাজতানতরিক বযবসথায় সিদধানত
গরহণ করেন করততববানরা[37]
অতপর তাতে যোগয-অযোগযের
পারথকয ছাড়া আপামর সাবালক
বযকতি ভোটাধিকার পরয়োগ করে
এই মষটিমেয় লোক কখনো অধিকাংশ
ভোটারের পরতিনিধিতব করেন
কখনো করেন না এদিকে সিদধানতকে
পরভাবিত করেন শকতিশালী ধনিক
শরেণি কখনো আড়াল থেকে কখনো
পরকাশযে
তবে ইসলাম গণতানতরিক বযবসথার
অনেক নীতির পরশংসাও করে যেমন
এর চিনতা-মতামত-অনভতি পরকাশ
তথা বাকসবাধীনতা কিনত এর শরত
হলো তা ইসলামের শিষটাচার নীতির
পরিপনথি না হতে হবে এর মাধযমে
কেউ আহত বা অপমানিত না হতে হবে
ফলে এ সবাধীনতা সে বাসতব অবসথা
শনাকতকরণে কাজে আসবে যা আমরা
করি বা যার সঙগে আমরা পরিচিত আর
ঘটনার সষঠ তদনত বা সনিরদিষটকরণ
ছাড়া তো কোনো সিদধানত বা সষঠ
সমাধানেই পৌৌছানো যায় না
ইসলাম তেমনি গণতনতরের কিছ
পদধতিকেও মলযায়ন-সমরথন করে
যেমন গণতনতরের নিরবাচন পদধতি
যদি তা হয় চড়ানতভাবে বা পদধতিগত
দিক থেকে বৈধ যাবৎ না তা
শরীlsquoআতের lsquoসাওয়াবেতrsquo তথা
অকাটযভাবে পরমাণিত বিষয়ে
হসতকষেপ না করে যেমন
সনদেহাতীতভাবে পরমাণিত শরীlsquoআতের
বকতবযের বসতনিষঠতা নিয়ে কিংবা
ওয়াজিব বা হারাম কোনো বিষয় নিয়ে
ভোটাভটি করা অনরপ সিদধানত
গরহণ বা আইন পরণয়নের পরাককালে
lsquoপরামরশেrsquoর আওতার বযাপকায়নে
গণতানতরিক ও সমাজতানতরিক
বযবসথায় অবলমবিত বৈধ সকল উপায়
কাজে লাগাতেও উৎসাহিত করে
ইসলাম
অনয দষটিকোণে ধরমনিরপেকষ
বযবসথা পরধানত শকতি ও দরাদরির
লড়াই-নীতিনিরভর যে বেশি শকতিমান
দর কষাকষিতে যে অধিক পারদরশি সে-
ই এতে লাভবান হয় এ বযবসথার
ছতরছায়ায় তদপরি বাইরের কোনো
পরযবেকষণের অবিদযমানতায়
রাজনৈতিক সংঘাতের ময়দানে
চাতরযপরণ অবৈধ পনথা বযবহার করে
অনায়াসে বযকতিসবারথ হাসিল করা
যায় অবশয যেসব মানষ কপট
সিদধানত নিতে পারে অথবা তাদের
পরতারিত করতে পারে তাদের কথা
ভিনন আর এ সবারথের বিজয় কিনত
জাতির বিশাল জনগোষঠীর সবারথের
নাম ভাঙগিয়েই কামানো সমভব যদিও
তা হয় সংখযাগরিষঠ নাগরিকের
সমমতির ভিততিতে হোক সে সমমতি
কতরিম বা পরবঞচনাপরণ
পকষানতরে ইসলামী বযবসথায় বিচার
বযবসথাকে দনিয়া ও আখিরাতের
সৌভাগয হাসিলের একটি মাধযম বলে
গণয করা হয় এতে জবাবদিহিতা কেবল
জনগণ পরযনত সীমাবদধ থাকে না
বরং আললাহ তাlsquoআলাও থাকেন তাদের
সঙগে পরযবেকষক হিসেবে তেমনি
এখানে হিসাব শধ পারথিব জীবন এবং
মানষ পরযনতই সীমাবদধ থাকে না
মানষের সামনে অপরাধী বযকতি
কখনো নিরদোষ সাবযসত হলেও
আললাহ তাlsquoআলা তার পরকত অবসথা
সমপরকে ওয়াকিফহাল থাকেন
গণতনতর ও সমাজতানতরিক
বযবসথায় মানষের জবাবহিদিতা
কখনো ঐশী আইন থেকেও শকতি
সঞচয় করে এবং তা দর কষাকষি ও
পরিতষট করতে শধ মানষের
পরযবেকষণ ও নিরীকষণকেও ছাড়িয়ে
যায়
জাতীয়তা ও ধরমে বিভিননতা সমপরকে
ইসলাম কী বলে
ইসলাম তো সেই মদীনায় গড়ে
ওঠা[3৮] রাষটর থেকেই বিভিননতাকে
রাজনৈতিক ঐকযের অনযতম উপাদান
মনে করে এসেছে তাইতো তাতে নানা
জাতি (আনসার মহাজির ও ইয়াহদী)
এবং নানা ধরমের (মসলিম খরিসটান
ইয়াহদী ও মরতিপজক) শানতিপরণ
সহাবসথান ছিল
ইসলাম মানষের বযকতি-অধিকার ও
সামষটিক অধিকার সংরকষণ করে
তারা সংখযাগর হোক চাই সংখযালঘ
এদের সবার সঙগে ইসলাম ভারসাময
রকষা করে তবে তাদের পরতযেকের
যোগয পারথকযানসারে তাই দলকে যা
দেয় বযকতিকে তা দেয় না যৌথ
বযাপারলোতে সংখযাগরিষঠকে যেসব
অধিকার দেওয়া হয় সংখযলঘিষঠকে তা
দেওয়া হয় না কেননা সাধারণ
বযাপারসমহ যেখানে বিভিননতার পরতি
লকষয রাখা অসমভব অথচ সেখানে
একতা বজায় রাখাও অবশযক তাতে
সংখযাগরকেই অগরাধিকার দেওয়া হয়
দবিতীয়তঃ ইসলাম একানত পরয়োজন
না পড়লে দলের পরয়োজনের চেয়ে
বযকতির পরয়োজনকেই অগরাধিকার
দেয়[39]
বসতত ইসলামের পরাথমিক যগগলোতে
বযবহত পরিভাষা lsquoযিমমীrsquo শবদটি
রাষটরের বিভিনন জাতি-গোষঠীর
মধযে পারথকয নিরপণে আধনিক যগে
বহল পরচলিত পরিভাষা lsquoসংখযালঘrsquoর
পরায় সমারথ বঝায় শবদদবয়ের মধযে
একমাতর তফাত হলো যিমমী
পরিভাষাটি ধরমীয় পারথকয নিরদেশ
করে পকষানতরে সংখযালঘর অরথ
আরও বযাপক কখনো জনমসতরে গণ
যেমন রকত-বংশের পরতি আবার
কখনো অরজিত গণ যেমন ভাষা ও
ধরমের বিভিননতার পরতি নিরদেশ
করে
বযকতি পরযায়ে (যেমন ইবাদাত) ও
নাগরিক অধিকারের কষেতরে (যেমন
বিবাহ ও উততরাধিকার) ইসলাম
সংখযালঘদের সংখযাগর বিরচিত
সংবিধানে পরদতত সাধারণ নীতির
আলোকে যোগয অধিকার পরদান
করে
তেমনি ইসলামী রাষটরে অমসলিমদের
পরদেয় lsquoজিযিয়াrsquoকে বরতমানের
রাষটরীয় করগলোর সাথে তলনা করা
যেতে পারে অথচ ইসলামী রাষটরে
অমসলিমদের যে তাদের সমপদের
সরবোচচ 5 পরদান করতে হয় তা
গণতানতরিক দেশে পরদেয় করের
কিয়দাংশ মাতর উপরনত ইসলামী
রাষটরে নারী শিশ পাগল দরিদর
বয়োবদধ ও দরারোগয বযধিগরসত
বযকতিরা এ জিযিয়ার
আওতামকত[40]
ইসলাম সংখযাগরদের বিশেষতব মেনে
নেয়ার সঙগে সঙগে সংখযালঘদের
অধিকার সংরকষণেও বদধপরিকর
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললাম বলেন
م معاهدا أو انتقصه أو كلافه فوق أل من ظل raquo
يئا بغير طيب نفس فأنا طاقته أو أخذ منه
laquoحجيجه يوم القيامة
ldquoজেনে রাখো যে বযকতি কোনো
চকতিতে থাকা বযকতির ওপর যলম
করবে তার অধিকার হরণ করবে তার
ওপর সাধযাতীত বোঝা চাপাবে বা তার
অমতে কিছ নেবে কিয়ামতের দিন
আমিই তার বিবাদী হবোrdquo এখানে
মlsquoআহিদ বা চকতিতে থাকা বযকতির
অরথ বযাপক এতে আললাহ ও তাৌর
রাসলের নিরাপততায় থাকা সব
বযকতিই অনতরভকত চাই তিনি
অমসলিম নাগরিক হোন অথবা সে
দেশেরই নাগরিক[41]
মসলিম শাসকদের এসব নীতি
অবলমবনের ফলেই মধযপরাচযের
রাষটরগলোতে যগযগ ধরে অমসলিমরা
বসবাস করেছে বরং সেখানে তারা
সথায়ীভাবে আবাস গেড়েছে অথচ সেসব
দেশের শাসনদণড ছিল মসলিমদের
বাদশাদের হাতে এরই সরবশেষ
দষটানত হিনদসতান বা ভারতবরষ
যেখানে পরায় সাত শতাবদী রাজয
পরিচালনা করেছে মসলিরা অথচ তার
কোনো নাগরিককেই ইসলাম গরহণে
বাধয করা হয় নি এ জনযই এতে
অবাক হবার কিছ নেই যে সংখযাগরিষঠ
হিনদরা তাদের হিনদ ধরম নিয়েই
সংখযগরিষঠ থেকে গেছে আবার
অনযদিকে দেখা যায় দরপরাচযের
দেশগলোতে যেমন মালয়েশিয়া ও
ইনদোনেশিয়ায় কোনো মসলিম
সৈনযদল অভিযান পরিচালনা করেনি
অথচ এর অধিকাংশ বাসিনদাই ইসলামে
দীকষিত হয়েছে[42] শধ তাই নয়
একসময় উততর আফরিকার মসলিম
দেশগলোই খরিসটানদের অতযাচারে
অতিষঠ পলায়নপর ইহদীদের
সরবোততম আশরয়সথল হয়ে
ওঠেছিল[43]
ইসলামে মানবিক সমপরক
ইসলাম দায়িতবপরাপত (মানব ও দানব)
সবাইকে দনিয়া ও আখিরাতের
কলযাণের পরতি আহবান করে এমনকি
ইসলামকে যে আখিরাতের মকতির পথ
হিসেবে সবীকার করে না তাকেও যাবৎ
না সে ইসলামের অনিষট সাধনায় লিপত
হয় কিংবা মসলিমদের ওপর যলম করে
বা যলমকারীকে সাহাযয করে
কারণ ইসলাম তার সঙগেও সদাচারের
মলনীতিতে অটল থাকে ইসলাম পথিবীর
নশবর জীবনে সমমিলিত কলযাণ
বাসতবায়নে অমসলিমদের পরতিও
সহযোগিতার হাত পরসারিত করতে
উৎসাহিত করে যাবৎ না এ সহযোগিতা
মসলিমের চিরসথায়ী জীবনের জনয
নেতিবাচক কিছ বয়ে আনে আললাহ
তাlsquoআলা জনমগতভাবেই মানষের মধযে
পারসপরিক সহযোগিতার মনোভাব
পরোথিত করেছেন তিনি বলেন
أيها كم ﴿ي ن ذكر وأنثى وجعلن كم م ٱلنااس إناا خلقن
كم أتقى ند ٱللا إنا أكرمكم عوبا وقبائ لتعارفوا
ليم خبير [١٣]الحجرات ﴾ ١٣إنا ٱللا
ldquoহে মানষ আমরা তোমাদেরকে এক
নারী ও এক পরষ থেকে সষটি করেছি
আর তোমাদেরকে বিভিনন জাতি ও
গোতরে বিভকত করেছি যাতে তোমরা
পরসপর পরিচিত হতে পার তোমাদের
মধযে আললাহর কাছে সেই অধিক
মরযাদাসমপনন যে তোমাদের মধযে
অধিক তাকওয়া সমপনন নিশচয়
আললাহ তো সরবজঞ সমযক
অবহিতrdquo [সরা আল-হজরাত আয়াত
13]
আর মসলিম-অমসলিমের সাধারণ
সমপরকের সীমা নিরধারণ করে
আললাহ তাlsquoআলার নিমনোকত বাণী
ين ولم تلوكم ف ٱلد ن ٱلاذين لم يق كم ٱللا ﴿لا ينهى
وهم وتقسطوا إليهم إنا ركم أن تبر ن دي يخرجوكم م
يح ن ٱلاذين ٨ب ٱلمقسطين ٱللا كم ٱللا إناما ينهى
هروا ركم وظ ن دي ين وأخرجوكم م تلوكم ف ٱلد ق
ئك هم إخراجكم أن تولاوهم ومن يتولاهم فأول لى
لمون [٩ ٨]الممتحنة ﴾ ٩ٱلظا
ldquoদীনের বযাপারে যারা তোমাদের
বিরদধে যদধ করে নি এবং
তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ি-ঘর
থেকে বের করে দেয়নি তাদের পরতি
সদয় বযবহার করতে এবং তাদের পরতি
নযায়বিচার করতে আললাহ
তোমাদেরকে নিষেধ করছেন না নিশচয়
আললাহ নযায় পরায়ণদের
ভালোবাসেন আললাহ কেবল তাদের
সাথেই বনধতব করতে নিষেধ করেছেন
যারা দীনের বযাপারে তোমাদের
বিরদধে যদধ করেছে এবং
তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ী-ঘর
থেকে বের করে দিয়েছে ও তোমাদেরকে
বের করে দেওয়ার বযাপারে সহায়তা
করেছে আর যারা তাদের সাথে বনধতব
করে তারাই তো যালিমrdquo [সরা আল-
মমতাহিনা আয়াত ৮-9]
অনযভাষায় ইসলাম (জিনন ও ইনসান
তথা মানব ও দানব) সকল
দায়িতবপরাপত মাখলককে দনিয়া-
আখিরাতের শানতি অরজনে একে
অপরের সহযোগি হতে উদবদধ
করে[44] আমরা যেমন জানি শানতি
মানে পরতিটি জঞানসমপনন মানষকে
অনযের জবরদসতি ছাড়া নিজেকে সখী
বানাতে কাজ করার সযোগ দেওয়া
হযাৌ কেউ তার কাঙকষিত শানতি বা
তার চেয়েও উততম শানতি অরজনে
সহযোগিতা করলে সেটা ভিনন কথা
কারণ তা জবরদসতির অনতরভকত
নয়
এ থেকে আমরা দrsquoটি গরতবপরণ
বাসতবতা বঝতে পারি
1 পরাকতিকভাবেই মানষের মধযে
এক ধরনের পারথকয বিদযমান
এমনটি করা হয়েছে যাতে একে অপরকে
চিনতে পারে এবং পরসপর সহযোগিতা-
পরতিযোগিতা করতে পারে তবে
lsquoপরকত অরজনেrsquoর মানদণড তাকওয়া
অরথাৎ আললাহ তাlsquoআলার সনতষটি
অরজন এবং তাৌর অসনতষটি থেকে
বাৌচার পরচেষটা করা আর তা করতে
হবে তাৌর নিরদেশিত কাজ সমপাদন এবং
নিষেধকত কাজ বরজন করার মাধযমে
2 যৌথ কষেতরগলোর
অধিকাংশতেই মানষের মধযে কিছ
ভিননতার উপসথিতি পারসপরিক
সহযোগিতার পরিপনথি নয় বরং যৌথ
কষেতরগলোতে তারা পরসপরে
সহযোগিতা করবে এভাবে তারা
কষণসথায়ী দনিয়া ও চিরসথায়ী
আখিরাত জীবনের সৌভাগয
বাসতবায়নে যথাসমভব একজনের
চেষটায় অনযজন পরিপরকের ভমিকা
রাখবে
ইনসাফের জায়গা থেকেই ইসলাম
নিরপেকষ বা সমরথক অমসলিম এবং
শতর ও বিদবেষী অমসলিমের মধযে
পারথকয করে পরথম দল নিজেদের
দেশকে শানতিরাষটর আর অপরদল
নিজেদের দেশকে শতররাষটর হিসেবে
অভিহিত করে তবে জাতিসংঘের মতো
একটি অভিভাবক সংসথা থাকতে উচিৎ
ছিল তার সদসয রাষটরের সবগলিই
শানতিরাষটর হওয়া যদিও কিছ
বযতিকরম থাকাও অসমভব নয়
কখনো বাসতবতা যাকে আংশিক বা
সাময়িকভাবে হলেও অসবীকার করে
সাধারণত এই নিরধারণের পরশনটি
পারিপারশবিকতা ও আনতরজাতিক
পরয়োজনের সঙগে সমপকত এদিকে
ইসলামে এই শরেণীকরণের যোগযতা
রাখেন বযকতি বা বিচছিনন দল নয়
বরং (ওলিয়ে আমর বা) করতপকষ তথা
সমগররাষটরের দায়িতবপরাপত
অভিভাবকপকষ কারণ বযকতি ও
দলের দষটিভঙগিতে হয়তো
আনতরিকতার অভাব থাকে না কিনত
তাতে বযাপকতার অভাব থাকে ঠিকই
অধিকাংশ কষেতরেই তা হয়
আবেগাশরিত এবং সমসযার পরতি
আংশিক নজরনিরভর তাই পরায়শই তা
ইসলামের বিশদধ মতামত থেকে হয়
বিচযত তা কখনো সমগর উমমাহ বা
এর কোনো বিশাল অংশকে ইসলাম ও
মসলিমের অকলযাণের দিকে টেনে নিয়ে
যায় বরং তাদের বযাপক কষতি সাধন
করে পরবরতীতে এই আবেগাশরয়ীদের
অনেকেই অনশোচনায় দগধ হন আর
এমনটাই সবাভাবিক কেননা
পরায়োগিক ফিকহী সিদধানত সঠিক
হওয়ার জনয শধ শরীlsquoআতের
বাণীসমগরের ওপর পরযাপত জঞান
থাকাই যথেষট নয় এর জনয আরও
পরয়োজন বাসতবতা অনধাবনের মতো
যথেষট পরজঞা
বিষয়টি পরিষকারের জনয গাযওয়ায়ে
উহদ হতে পারে আদরশ উপমা এ যদধে
যবক শরেণি তাদের ধরমীয় আবেগ আর
ইসলামের জনয পরাণদানের পরেরণায়
উজজীবিত হয়ে শতরদের অবসথান
অভিমখে বেরিয়ে আসাকেই মসলিমদের
জনয শরেয় মনে করেছিলেন
পকষানতরে রাসলললাহ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললামের দষটি ছিল
আরও বযাপক ও দরদষটিসমপনন
দীরঘমেয়াদে কাজের পরতি লকষয রেখে
এবং মসলিম ও শতর সৈনযের কথা
বিবেচনা সেটিই ছিল বাসতব ও যথারথ
সিদধানত লকষণীয় যবশরেণীর
সিদধানত ছিল কেবল দীনের
আতমনিবেদনের আবেগ ও পরেরণা
থেকে উদভত পকষানতরে রাসলললাহ
সাললাললাহ আলাইহি ওয়াসাললামের
সিদধানত ছিল ইসলামের পরতি তাৌর
দায়িতব এবং ইসলাম ও মসলিমের
ভবিষযৎ ও তাদের নিরাপততার চেতনায়
পষট আর বলাবাহলয যে এ দই
সিদধানতের মাঝে বিদযমান বিশাল
পারথকয
তবে এর অরথ কিনত এ নয় যে
রাষটরের কিছ কিছ সিদধানত কেবল
কষমতাবানদের বযকতি সবারথের
পদলেহনই করে হোক না তা ইসলাম ও
মসলিমের হিসেবে বরং এসব
সিদধানতের সিংহভাগই অধিক
দরদরশিতা অধিক সতরকতা ও অশভ
পরিণামের পরতি লকষয রেখে গহীত
হয়
আনতধরম সংলাপ বিষয়ে ইসলামের
অবসথান
কিছ ধরমের লোক আছে যারা
অনযধরমের লোকদের সঙগে
আলোচনা করতে ভয় পায় বরতমানে
যাকে lsquoআনতধরম সংলাপrsquo বলা হয় একে
তারা এক ধরনের পরাজয় বলে মনে
করে এটি ঠিক নয় সাধারণত
আনতধরম সংলাপ অথবা সঠিক শবদে
বললে ধরমীয় পরতিনিধিদের
পারসপরিক আলোচনা চার ধরনের হতে
পারে[45]
1 সংলাপে অংশগরহণকারী পরতিটি
ধরমের শদধতার সবীকতি সংকরানত
পারসপরিক আলোচনা এটি
পরচারধরমী সকল ধরমেই যেমন
ইসলাম ও খরিসটধরমে
পরতযাখযানযোগয এর মধযে সরাসরি
উভয় ধরমকে পরচলনের সবধরণের
যৌথ পরচেষটাই অনতরভকত যদিও
তা হয় উভয় পকষের অনিচছায়
2 বাসতবে এসব ধরমের অসতিতব
সমপরকে ধরমীয় বিরোধ থেকে সষট
বিরোধ নিরসনের পরয়োজনীয়তা
বিষয়ে এসব মতবিরোধ নিরসনের
উপায়ে পৌৌছার জনয যদবারা
সবপকষের নিরাপততা নিশচিত হবে
এবং যৌথ বযাপারগলোতে ফলপরস
সহযোগিতা বাসতবায়িত হবে- সে
বিষয়ে পারসপরিক আলোচনা ইসলাম
এ উদযোগকে সবাগত জানায় এর
কারণ পরবে উললেখ করা হয়েছে
3 পরতযেক ধরমের লোকের
অনযকে নিজ ধরম সমপরকে তা দনিয়া-
আখিরাতের কলযাণ বাসতবায়নে সকষম
সে বিষয়ে নিশচিত করার চেষটা আমরা
যদি সকল নবী-রাসলের দাওয়াতী চেষটা
সমপরকে চিনতা করি তাহলে দেখতে
পাই দাওয়াতের উদযোগ ছিল মলত এ
ধরনের আলোচনার পরথম পদকষেপ
আর এটি সকল নবী-রাসল এবং সতযের
পরতি আহবানকারী সবার দায়িতব
সতরাং শানতিপরণ পরিবেশে নানা
ধরমের পরতিনিধি ও অনসারীর সঙগে
সংলাপ-আলোচনা মলত পরতযেকের
বিশবাসকে সতয পরমাণ করার এক
দারণ উপলকষ এটি সংলাপে
অংশগরহণকারী পরতযেককে অনযের
ধরমের সতযতা নিয়ে ভাবার চমৎকার
সযোগ সষটি করে
4 বিভিনন ধরমের লোকদের সঙগে
পরাতযহিক জীবনে চলমান বিভিনন
লেনদেনের মাধযমে পারসপরিক
সবতসফরত আলোচনা এতে উভয়
পকষ ঐচছিক বা সবয়ংকরিয়ভাবে
বাচনিক বা শারীরিক ভাষা বযবহার
করেন
মানবাধিকার সংগঠনগলো সমপরকে
ইসলামের অবসথান
বরতমানে বিভিনন মানবাধিকার সংগঠন
ও জাতিসংঘের নানা অঙগসংসথা ও
সংগঠন আয়োজিত বিচিতর সমমেলন
অধিকারহারা বিভিনন জাতি-গোষঠীর
অধিকার রকষায় নানামখী পরশংসনীয়
তৎপরতা চালিয়ে যাচছে
তবে এসব কখনো কখনো এমন কিছ
আইনী ও রাজনৈতিক ইসয উসকে দেয়
যা জাতিসংঘের লকষয ও উদদেশযের
সঙগে সাংঘরষিক যেমন এসব সংগঠন
নিজেকে সথানীয় আইনের সঙগে জড়িয়ে
ফেলে যা কেবল সংশলিষট দেশের
নাগরিকদের ওপর পরয়োগ করা হয়
অথচ এরা বা এদের অধিকাংশই
আইনটি পরণয়ন করেছে
এসব সংগঠনে করমরত অধিকাংশ
বযকতির আনতরিকতার বযাপারে
আমাদের কোনো সনদেহ নেই কিনত
দেখা যায় তাদের অনেক উদযমীর
নিষঠাপরণ আবেগ কখনো এমন
নসীহতও পেশ করে যা ঐ জাতির দনিয়া-
আখিরাতের পথচলার সিদধানতের
অধিকারের সসপষট লঙঘন বলা যায়
তাতে ঐ জাতির সবাধীনতার ওপর
সসপষট হসতকষেপ করা হয় যারা
সবতসফরতভাবে জাতিসংঘের
সদসযপদ অরজন করেছে এর সঙগে
আরও যোগ করা যায় কিছ
সবারথানবেষী গোষঠী তাদের
বযকতিসবারথ চরিতারথ করার জনয
এসব সংগঠনেও অবৈধ অনপরবেশ
করে তাদের চেষটা থাকে বিভিনন
জাতির মধযে বিদযমান সমপরক নষট
করা এবং বকরপথে জাতিসংঘের
মলনীতির বিরদধে যদধ চালিয়ে যাওয়া
শেষাবধি যাতে এর নেততব ও করততব
থাকে তাদের হাতে বিষয়টি আমাদের
সামনে কিছ পরশন তলে ধরে
1 এসব সংসথা ও সমমেলনের
শকতির উৎস কোথায় যারা জাতির
ওপর ছড়ি ঘোরাবার পরয়াস পায় জাতি
কি তাদের ভোট দিয়ে নিরবাচিত করেছে
নাকি কমপকষে অধিকাংশ জনগণ
তাদের নিরবাচিত করেছে
2 সমমেলনে অংশগরহণকারী
অধিকাংশের সিদধানতের বৈধতা কী
তারা যখন নিরদিষট কোনো জাতির
বৈধ রাষটরের পরতিনিধিতব করবেন
তখন তাদের সিদধানত কি পরতিনিধি
নিযকতকারী জাতির অধিকাংশের
সিদধানতের উরধবে হবে
3 যদি তারা নিরবাচন বা
ভারারপণের মাধযমে জাতির
পরতিনিধিতব না করেন তাহলে
কোনো আইনের ভিততিতে তারা
জাতির আভযনতরীণ বিষয়ে নাক গলান
sect তারা কি জাতিসংঘের নীতির
ভিততিতে নাক গলান সদসয রাষটরের
আভযনতরীণ বিষয়ে তাদের নাক
গলানো তো জাতিসংঘের পরধান
মলনীতিরই লঙঘন যা সদসযদের
সবাধীনতার সবীকতি পরদান করে[4৬]
sect তারা কি গণতনতরের নীতির
ভিততিতে নাক গলান তাদের এ কাজ
তো গণতনতরের মলনীতিরও
পরিপনথী কেননা গণতনতর একটি
জাতির সরবোচচ কষমতা সেদেশের
সংখযাগরিষঠের হাতে নযসত করে
sect নাকি তারা মানবাধিকার ও
নযায়বিচারের ভিততিতে নাক গলান
তাদের অধিকাংশ সিদধানতই তো
মানবাধিকার ও সংখযাগরিষঠ জনগণের
চেতনার ওপর বড় আঘাত
এসব সংগঠনের সিদধানত মেনে নিতে
নীতিগতভাবে কোনো জাতিই বাধয নয়
যাবৎ তার সদসযবনদ আইনী পনথায়
কোনো জাতির পরতিনিধিতব করে
অনযথায় এটি শধ সপারিশ ও কিছ
বযকতির নিজসব দষটিভঙগি বলেই
গণয হবে
ইসলাম সাধারণভাবে lsquoকে করলোrsquo
সেদিকে ভরকষেপ না করে মজলমদের
সমরথনে বযয়িত সকল পরচেষটার
পরতিই শরদধা ও সমরথন বযকত
করে উপরনত এ ধরনের কাজে অংশ
নিতে সরবাতমক উৎসাহ যোগায়
যদিও সে নিগহীত গোষঠীটি হয়
অমসলিম[47] তাই যেসব কষেতরে
পরশংসনীয় পদকষেপ গহীত হয় সেখানে
এসব সংগঠনকে খবরদারি করতে
ইসলাম নৈতিকভাবে উদবদধ করে
এসব কষেতর নিমনরপ
1 যখন কোনো দেশ অনয দেশের
ওপর উৎপীড়ন চালায় বিশেষত
জাতিসংঘের উদভবের পর
2 যখন কোনো দেশ অনয দেশের
জাতি-গোষঠী অথবা তার কিছ
নাগরিককে সথানীয় বা আনতরজাতিক
আইনের দোহাই দিয়ে নিগহীত করে
অনযকথায় যখন আইন পরয়োগে
নাগরিক ও অনাগরিকের মধযে কিংবা
নাগরিকদের মধযে বংশ বা পৈতক
গণাবলির কারণে বৈষময করা হয়
বিশেষতঃ জাতিসংঘের উদভবের পর
3 যখন কোনো দখলদার গোষঠী
নিরদিষট কোনো ভৌগলিক এলাকার
আদিবাসীদের সমপদ বা ভমি জবরদখল
করতে উদযত হয়
4 যখন রাষটর কিছ নাগরিককে তার
জনমগত অধিকার থেকে বঞচিত করে
যেমন তাদের ভসমপততির অধিকার
শিকষার অধিকার সামরথযমতো নিজ
করম বাছাইয়ের অধিকার পছনদমত
সথানে বসবাসের অধিকার ইতযাদি
হযাৌ তবে তা হতে হবে এসব অধিকার
অরজনের গরহণযোগয নিয়মানসারে
কলযাণ পরচারে আগরহ
চিনতা আকীদা ও মাযহাবগত নানা দল-
উপদল রয়েছে যারা কেবল নিজেদের
আদরশকেই দনিয়া-আখিরাতের
কলযাণের জামিন মনে করে তবে তারা
তাদের কলযাণের পথে অনযকে শামিল
করার বযাপারে কোনো গরতব অনভব
করে না তারা কাউকে আহবান করে না
নিজেদের পথে আবার কিছ দল রয়েছে
যারা বিশবাস করে তাদের অবলমবিত
পদধতিই পারথিব জগতে বিশব
মানবতাকে রকষা করতে পারে পারে
আনতরজাতিকভাবে শানতি পরতিষঠা
করতে এরা নিজেদের আদরশ অনযদের
কাছে পরচার এবং তাদের জনয তা
আবশযক মনে করে এদিকে আরেক দল
আছে যারা দঢ়ভাবে বিশবাস করে তারা
যে আদরশ লালন করে একমাতর তা-ই
মানষের কষণসথায়ী ও চিরসথায়ী
জীবনের অফরান মঙগল বয়ে আনতে
পারে আর যেহেত তারা সমগর
মানবতার কলযাণ ও মঙগল কামনা
করে তাই তারা তাদের চেতনা ও আদরশ
পরচারে উদযমের সঙগে কাজ করে
তবে তারা কাউকে বাধয করে না
মসলিমরা এ দলেরই অনতরভকত তারা
চায় মকাললাফ বা আললাহর
দায়িতবপরাপত পরতিটি জীবই (জিন ও
ইনসান) কলযাণ পথে তাদের সহযাতরী
হোক কিনত এ পথে তারা কাউকে
বাধয করায় বিশবাসী নয় আললাহ
তাlsquoআলা তাদেরকে পরজঞা ও
সদপদেশের মাধযমে ইসলামের দিকে
ডাকার নিরদেশ দিয়েছেন আললাহ
তাlsquoআলা বলেন
ظة ٱلحسنة ﴿ٱدع إلى سبي رب ك بٱلحكمة وٱلمو
دل لم بمن وج أحسن إنا رباك هو أ ت ههم بٱلا
لم بٱلمهتدين ن سبيلهۦ وهو أ ﴾ ١٢٥ض ا
[١٢٥]النح
ldquoতমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও
সনদর উপদেশের মাধযমে আহবান কর
এবং সনদরতম পনথায় তাদের সাথে
বিতরক কর নিশচয় একমাতর তোমার
রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভরষট
হয়েছে এবং হিদায়াতপরাপতদের তিনি
খব ভালো করেই জানেনrdquo [সরা আন-
নাহল আয়াত 125]
মসলিমরা ইসলাম পরচারে আগরহী
কেন
মসলিমরা একানতভাবেই কামনা করে
মকাললাফ বা আললাহর দায়িতবপরাপত
পরতিটি জীবই (জিন ও ইনসান)
কষণসথায়ী ও চিরসথায়ী জীবনের
অননত সখের ঠিকানা খৌজে পাক
শাশবত জীবন ও নশবর জীবনের
মকতির বারতা নিয়ে আগমনকারী
হিদায়াতে রববানীকে একচেটিয়াভাবে
নিজেদের করে নেয়াকে মসলিমদের
জনয বিশেষভাবে হারাম ঘোষণা করেছে
ইসলাম বরং এ বারতাকে সবার মধযে
ছড়িয়ে দেওয়া অতযাবশযক করেছে
কেউ যাতে ইসলাম থেকে ইসলামের
আলোকিত পথ থেকে বঞচিত না হয়
একইসঙগে ইসলাম মনে করে পরতিটি
জঞানসমপনন বা সাবালক নারী-পরষই
পথিবীতে সবাধীন সে যা ইচছে তা
গরহণ করতে পারে যে চেতনা পছনদ
লালন করতে পারে কিনত আখিরাতে
এর ফল তাকেই ভোগ করতে হবে
পবিতর করআনে আললাহ তাlsquoআলা
বলেন
﴾ د من ٱلغ ين قد تابيان ٱلر ﴿ل إكراه ف ٱلد
[٢٥٦]البقرة
ldquoদীন গরহণের বযাপারে কোনো
জবরদসতি নেই নিশচয় হিদায়াত
সপষট হয়েছে ভরষটতা থেকেrdquo [সরা
আল-বাকারাহ আয়াত 25৬]
আললাহ তাlsquoআলা আরও বলেন
[٣٨]المدثر ﴾ ٣٨﴿ك نفس بما كسبت رهينة
ldquoপরতিটি পরাণ নিজ অরজনের কারণে
দায়বদধrdquo [সরা আল-মদদাসসির
আয়াত 3৮]
তবে কেউ যখন সবেচছায় ইসলাম গরহণ
করে তখন তার ওপর সেসব
বাধযবাধকতা মেনে চলা আবশযক হয়ে
পড়ে যা তার ওপর ইসলাম ফরজ
করেছে যাতে সে এসব না মানার শাসতি
থেকে রকষা পায় যোগয বিবেচিত হয়
আলাদা বৈশিষটয ও অফরান
পরতিদানের
ইসলামকে যিনি দীন হিসেবে গরহণ
করবেন তার জনয জররি এর যাবতীয়
শিকষা ও আদরশকে বাসতবে রপ দান
করা কিছকে ধারণ করা আর কিছকে
উপেকষা করার কোনো অবকাশ নেই
ইসলামে যতকষণ তা হয় অকাটয বা
পরায় অকাটযভাবে পরমাণিত এবং তার
মরম হয় উপলবধ কেননা আললাহ
তাlsquoআলা বলেন
ب وتكفرون ببعض فما ﴿أفتؤمنون ببعض ٱلكت
ة جزاء من يفع ذ لك منكم إلا خزي ف ٱلحيو
﴾ د ٱلعذاب أ مة يردون إلى ]البقرة ٱلدنيا ويوم ٱلقي
٨٥]
ldquoতোমরা কি কিতাবের কিছ অংশে ঈমান
রাখ আর কিছ অংশ অসবীকার কর
সতরাং তোমাদের মধযে যারা তা করে
দনিয়ার জীবনে লাঞছনা ছাড়া তাদের কী
পরতিদান হতে পারে আর কিয়ামতের
দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে
নিকষেপ করা হবেrdquo [সরা আল-
বাকারাহ আয়াত ৮5]
বিষয়টি আসলে এমন যেমন কেউ
সবেচছায় একটি নিরদিষট দেশের
নাগরিক হলো এখন কিনত সে ঐ
দেশের নাগরিক হবার যাবতীয় শরত
পরণে বাধয এসব শরতের মধযে রয়েছে
দেশের যাবতীয় অধিকার ও সবিধাদি
ভোগ করার জনয পরযোজয শরত
পরণ করা সে কিছতেই এসব
দায়দায়িতব এড়িয়ে যেতে পারে না
কোনো দেশের নাগরিক হওয়া আর
ইসলামের দীকষিত হওয়ার মধযে
একমাতর পারথকয এই যে নাগরিককে
তার সমপরকের দেশ কখনো বিতাড়ন
করে কিনত মসলিমকে তার একানত
ইচছে ছাড়া কেউ কখনো ইসলাম থেকে
খারিজ করতে পারে না
সংশলিষট আরেকটি করতবয হলো
মসলিম নাগরিককে সমাজের কলযাণে
নিজের সমপদ থেকে যাকাত পরদান
করতে হয় যে সমাজের সে অংশ এবং
তার বিবিধ সেবা সে গরহণ করে তেমনি
অমসলিম নাগরিককে ইসলামী রাষটরের
জনযও কিছ দিতে হয় অনযদের বেলায়
আমরা বরতমানে যাকে কর বা টযাকস
বলি এটি তার শামিল যেমন অমসলিম
দেশের মসলিম নাগরিকদের নিরধারিত
টযাকস বা কর পরিশোধ করতে হয়
যেমন ভমিকর আয়কর ও বাণিজযিক
কর ইতযাদি এসবের পাশাপাশি
তাদেরকে সকল খরচ বাদ দেওয়ার পর
(যার মধযে করও রয়েছে) যাকাতও দিতে
হয়
ইসলামী রাষটরে অনয ধরমের
তৎপরতা নিষিদধ কেন
মসলিম সংখযাগরিষট কিছ দেশ নিজ
ভখনডে অনয ধরম ও মতবাদ পরচার
নিষিদধ করেছে দrsquoটি পরধান কারণে
পরথম এসব দেশের সব বা অধিকাংশ
নাগরিকই ধরম হিসেবে ইসলামকে বেছে
নিয়েছে আর ইসলাম এমন একটি
ধরমবিশবাস যার পরণ আনগতয
অতযনত জররী এটি এমন শরীlsquoআত যা
তাদের পারসপরিক সমপরক এবং
অনযদের সঙগে তাদের সমপরকও
নিরধারণ করে ইসলামের কয়েকটি
মৌলিক বিশবাস এমন
1 মহাবিশবের একজন সরষটা
রয়েছেন তিনি আললাহ সবহানাহ
ওয়াতাআলা তিনিই শর এবং তিনিই
শেষ[4৮]
2 সরষটা কেবল একজন আর তিনি
ছাড়া কেউই ইবাদাত বা উপাসনার
যোগয নয়
3 সষটিজীবের পরয়োজন ও সমসযা
জানার জনয তাৌর কোনো মাধযমের
পরয়োজন হয় না
4 আললাহ তাlsquoআলা মানষ ও জিনকে
কিছ গণে ঋবধ করেছেন যেমন বিবেক-
বদধি এবং ভালো-মনদ পছনদের
একরকম সবাধীনতা উপরনত তিনি
তাদেরকে সসথ পরকতিতে এবং
রাসলগণ যা নিয়ে এসেছেন তাতে
হিদায়াতে সসজজিত করেছেন ফলে
তারা তাদের সাময়িক জীবনের যাবতীয়
করম সমপরকে জিজঞাসিত হবে
অতপর তারা চিরসথায়ী জীবনে তথা
জাননাত বা জাহাননামে সেসব করমের
ফলাফল ভোগ করবে
5 মকাললাফ বা দায়িতবপরাপত
পরতিটি মাখলক তথা জিন ও মানষ
যথাসাধয সরবশেষ নবী মহামমদ
সাললাললাহ আলাইহি ওয়াসাললামের
ওপর পরেরিত আললাহর যাবতীয়
আদেশ-নিষেধ মানতে বাধয
ইসলামের এসব মৌলিক বিশবাস জানার
পাশাপাশি আমরা এও জানি যে
বরতমানের ধরম ও মতবাদগলো
ইসলামের এসব মৌলিক চেতনার
কোনো না কোনোটি কিংবা একাধিক
ধারার সঙগে সাংঘরষিক আর এটা তো
অনসবীকারয যে বিরদধ চিনতার
পরসার নাগরিকদের নিরাপততাকে শধ
সাময়িক জীবনে নয় চিরসথায়ী জীবনেও
হমকির মখে ঠেলে দেয়
দবিতীয় সাধারণত কোনো দেশের সব
নাগরিক সাবালক হয় না একটি দেশে
অনেক নাগরিকই এমন থাকে যারা
এখনো সাবালক হয় নি বা যাদের
জঞানের বিকাশ ঘটে নি এরা নিজেকে
দেশের সংখযাগরিষঠ নাগরিকের
আদরশ ও চেতনা বিনাশী চিনতা ও
মতাদরশ থেকে রকষা করতে পারে না
এ জনয পরয়োজন তাদের অপরের
সহযোগিতা মলত তাদের
সাহাযযারথেই রাষটর এ ধরনের
বযবসথা নিয়ে থাকে যেমন আমরা দেখি
এদেশের যেসব নাগরিক সরকারি
পরতিনিধি হিসেবে বা বযকতিগত
পরয়োজনে অনয দেশে বসবাস করছে
তাদেরকে সে দেশের নিয়ম মেনে চলতে
হয় তাছাড়া দেশের অভযনতরে যে
বযকতি গবেষণার জনয অনৈসলামি
চিনতা ও মতাদরশ সমপরকে জানতে
চায় তার জনয তো অধিকাংশ কষেতরে
ইসলামী রাষটরই সে বযবসথা করে
দেয়
এটি একটি সবাভাবিক বিষয় কেননা
আনতরজাতিক সনদসমহও মানষের
শিকষার অধিকারের মধযে পিতা বা বৈধ
অভিভাবকের জনয সনতানের শিকষার
বিষয় পছনদ করার অধিকার সংরকষণ
করে[49]
তেমনি এও সবাভাবিক যে অনেক
রাষটরই তার রাজনৈতিক সীমানার
মধযে এমন সব তৎপরতা নিষিদধ করে
যাকে সে দেশ তার নিজসব দষটিভঙগির
আলোয় অশভ এবং তার আভযনতরীণ
শানতি ও নাগরিকের নিরাপততায়
পরভাব সষটিকারী মনে করে যদিও
এসব কারযকরমের পরভাব কেবল
সাময়িক পারথিব জীবন পরযনতই
সীমাবদধ সব দেশই এমনটি করে
থাকে এমনকি গণতানতরিক ও
ধরমনিরপেকষ দেশগলোও অতএব
যেসব চিনতা ও করমের পরভাব শধ
দনিয়ার সাময়িক জীবন পরযনত সীমিত
নয় বরং আখিরাতের চিরসথায়ী জীবন
পরযনত পরলমবিত তার বযাপারে কেন
এমন নিষেধাজঞা বলবৎ থাকবে না
আর যেহেত এর কষতিকারিতা
আখিরাতের অবশযমভাবী জীবন
পরযনত বিসতত ফলে তা জাতিসংঘের
নীতিরও সমারথক কেননা জাতিসংঘ
তার সদসয রাষটরসমহের ধরমীয়
সবাধীনতা সংরকষণে বদধপরিকর
যদিও অনৈসলামি ধরমীয় মতবাদ
পরচার-তৎপরতা নিষিদধ থাকে তথাপি
সকল মসলিম সংখযাগরিষঠ দেশ তার
অমসলিম নাগরিকদের নিজেদের বিশেষ
শিকষা পরতিষঠান পরতিষঠা এবং
তাদের ধরমীয় বিধিবিধান পালন ও
বাসতবায়নের পরণ অনমতি দিয়ে থাকে
যাবৎ তা সংখযাগরিষঠের বিধানের
সঙগে সাংঘরষিক না হয় একমাতর
মককা নগরীই এর বযতিকরম
ইসলামের বিশেষ পবিতর সথান হিসেবে
এর পরবেশাধিকার কেবল মসলিমদের
জনয সংরকষিত
সৌদি আরবে অনয ধরমের পরকাশয
চরচা নিষিদধ কেন
এ বিষয়ে কথা বলার আগে আমাদেরকে
মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে একমত হতে
হবে
1 জাতিসংঘের সদসয হওয়া কিংবা
এর কোনো কমিটির সঙগে
সংশলিষটতার অরথ কি এই যে একটি
জাতি তার নিজসব ভখনডের ভেতর সে
বা তার সংখযাগরিষঠ সদসয যে
মলযবোধ বা চেতনা লালন করে তাকে
পরিহার করতে হবে
অবশযই এর উততর হবে না
ধরমনিরপেকষসহ সব দেশই এ অধিকার
সংরকষণ করে কেননা জাতিসংঘ সনদ
তার উদদেশয সমপরকে বলছে
lsquoপারসপরিক সমানাধিকার ও
পরতযেকের নিজসব চলার পথ পছনদের
অধিকারের ভিততিতে জাতিতে জাতিতে
সৌহারদযপরণ সমপরক গড়ে
তোলাrsquo[50]
এই সনদে এমন কিছ নেই যা
জাতিসংঘকে কোনো দেশের
অভযনতরীণ বিষয়ে নাক গলাবার
অনমোদন দেয় তাতে এমন কিছও নেই
যা তার সদসয দেশগলোকে সপতম
অধযায়ে উললেখিত নিয়নতরণ বযবসথা
কারযকরে এ নীতি অনতরায় নয় বলে এ
সনদের কারযকারিতা সথগিত করার
জনয এ ধরনের সমসযা উদভাবনের
অনমতি পরদান করে[51]
2 কোনো ধরমনিরপেকষ
গণতানতরিক বা সমাজতানতরিক
রাষটেও কি সংখযালঘ নাগরিকদের
তাদের নিজসব চিনতা-চেতনা বা
বিশবাস-আদরশ সংখযাগরিষঠ
নাগরিকদের জনয বাধযতামলক করার
অধিকার রয়েছে অবশযই এর উততর
হবে না
3 কোনো সাধারণ গণতানতরিক বা
সমাজতানতরিক দেশে কি বিদেশিদের
ভোট দেওয়ার অধিকার আছে- যারা
সেখানে শিকষা চাকরি বা রাজনৈতিক
আশরয়ের সবাদে অবসথান করছে
নিশচয় তারা সে দেশের সঙগে
চকতিবদধ যে দেশ তাকে ভিসা পরদান
করেছে তেমনি চকতি সমপাদিত হওয়ার
পর তার মেয়াদ শেষ বা চকতি বাতিল না
হওয়া পরযনত কি উভয়পকষের সমমতি
ছাড়া কোনো শরত যকত করার
অনমতি আছে কি
অবশযই এর উততর হবে বিদেশি
বযকতি সবেচছায় চকতি
সমপাদনপরবক একটি দেশে পরবেশের
পর কেবল সেদেশের আইন-কানন মেনেই
সেখানে অবসথানের অধিকার রাখে এ
বযকতি ও দেশটি কেবল চকতি
সমপাদনের আগ পরযনতই পরতযকষ
ও পরোকষ শরতাবলিতে সমমতি বা
অসমমতি দেওয়ার অধিকার রাখে আর
সথানীয় সব আইন পরোকষ শরতের
অনতরভকত হযা চকতিপতরে যদি
কোনোটাকে বযতিকরম হিসেবে
উললেখ করা হয় তাহলে ভিনন কথা
সোজা কথায় বললে একজন বিদেশি
নাগরিক চাই তার বিশবাস ও মলযবোধ
অবসথানরত দেশের মলযবোধের সঙগে
সাদশযপরণ হোক বা না হোক
সবেচছায় চকতি সমপাদনের পর তার
জনয জররী চকতির মেয়াদ শেষ না
হওয়া পরযনত সেদেশের বিশবাস ও
মলযবোধের পরতি শরদধাশীল থাকা
এটি একটি সবাভাবিক বিষয়
গণতানতরিক ও ধরমনিরপেকষসহ সব
দেশই এমনটি করে থাকে এর দষটানত
অনেক যেমন
1) কোনো বিদেশি শিশ যখন
মারকিন যকতরাষটরে জনমগরহণ করে
তার জনয আমেরিকান পাসপোরট ছাড়া
সেদেশে পরবেশের অধিকার থাকে না
যদিও এ পাসপোরট বহন করার ফলে
মানষকে তার দেশের নিয়মে শাসতির
সমমখীন হতে হয় তবে বিদেশির জনয
শর থেকেই আমেরিকায় পরবেশ না
করার পরণ সবাধীনতা রয়েছে যাতে
তিনি আমেরিকান পাসপোরট বহনে
বাধয না হন
2) গণতানতরিক দেশগলোর মতো
সব দেশেরই নানা রকমের ভিসা
বযবসথা চাল রয়েছে সতরাং যিনি যে
ধরনের ভিসা নিয়ে দেশে পরবেশ করবেন
তাকে তার যাবতীয় নিয়ম ও শরতাদি
মেনে চলতে হবে যেমন তিনি এ দেশে
কেবল লেখাপড়া করবেন কাজ করবেন
না এবং কোনো রাজনৈতিক
করমকাণডে অংশগরহণ করবেন না
একজন ভিনদেশি লোক এসব শরতে
সমমতি পরকাশ করার আগ পরযনত
পরণ সবাধীনতার সঙগে নিজের ভালো-
মনদ বিবেচনা করেন তারপর সেসব
তিনি মেনে নেওয়া বা না মানার
ভিততিতে ভিসা গরহণ করেন বা তা
থেকে বিরত থাকেন কোনো পর দেশই
তাকে ভিসা নিতে বাধয করে না
3) অনেক মসলিম বযকতি অমসলিম
রাষটরে (তাদের ভাষায়) সে দেশের
জাতীয়তা নিয়ে বসবাস করেন তথাপি
তারা সেখানে তাদের ধরমীয় অনেক
বিধি-বিধান সেখানে পালন করতে পারেন
না যেমন সবপরণোদিত হতযাকারীর
ওপর কিসাসদণড পরয়োগ বযভিচারী
ও বযভিচারিণীর বেতরাঘাতদণড
পরয়োগ ইতযাদি কেননা এসব বিধান
সেসব দেশের সংখযাগরিষঠ নাগরিক
করতক গহীত আইনের পরিপনথী
এদিকে ইসলামের দষটিতে এসব বিধান
যদিও মৌলিক ও অবশয পালনীয়
কিনত একটি উদারনৈতিক ও
বাসতবমখী ধরম হিসেবে ইসলাম এসব
মসলিমের বিধানগলো বাসতবায়ন না
করাকে কষমা সনদর দষটিতে দেখে
বরং তাদেরকে উদবদধ করে সংশলিষট
দেশের আদরশ ও নিষঠাবান নাগরিক
হতে অনপরাণিত করে তাদেরকে
অনযের জনয অনকরণীয় হতে[52]
সবদেশী হিসেবে অমসলিম দেশে
বসবাসকারী সংখযালঘ মসলিমকে যখন
এমন নিরদেশনা হয়েছে তখন
বলাইবাহলয যে বিদেশে অবসথানকারী
বযকতির জনয সেদেশের নিয়ম-কানন
মেনে চলা আরও বেশি আবশযক নিয়ম
মানতে না পারলে তো চকতি বাতিলের
অবকাশ নিয়ে ঐ দেশে বসবাস তযাগ
করতে পারে সে হিসেবে নিয়ম পছনদ না
হলে শর থেকেই কেউ সৌদি আরবে
পরবেশ করতে অসবীকতি জানাতে পারে
সৌদি সরকার তো কাউকে এখানে
আসতে বা বসবাস করতে কাউকে বাধয
করে না
আর কটনৈতিক মিশনগলোর কষেতরে
এ নিয়ম এজনয যে তারা এখানে সথায়ী
নন তাদের অবসথান বারবার
পরিবরতন হয় তাছাড়া তাদের ধরম ও
ধরমের পরতি নিষঠাও বযকতিবিশেষে
বিভিনন রকম হয় সতরাং তাদের
ইবাদতের জনয সরময সথাপনা
পরতিষঠার অনমতি দেওয়া কটনৈতিক
নিয়মেও যকতিসঙগত নয় কটনীতির
দাবি হলো তারা তাদের সংরকষিত
সথানে নিজসব ধরমীয় আচার-নিয়ম
চরচা করবেন কটনৈতিক শিষটাচারের
দাবি উভয় রাষটর পরসপরের পরতি
শরদধা বজায় রাখবে আর এরই অংশ
হিসেবে সথানীয় নিয়ম-নীতির পরতিও
শরদধা রাখতে হবে
সৌদি আরবের জনগণ ইসলামকে
তাদের রাষটরীয় ধরম হিসেবে সবেচছায়
গরহণ করেছে নিজেদের জনয তারা
ইসলামের যাবতীয় আকীদা-বিশবাস
ইবাদাত-বনদেগী আচার-আখলাক ও
বিধি-বিধানকে পছনদ করেছে এদিকে
সৌদি আরবের ভৌগলিক অবসথানকে
ইসলাম বিশেষ সরকষিত সথান হিসেবে
ঘোষণা দিয়েছে[53] আরব উপদবীপ
যেখানে বিশবমসলিমের পরিয়তম
ভমিদবয় তথা মককা ও মদীনা
অবসথিত- তাতে দই ধরম একতরিত
হতে পারবে না মরমে নিরদেশ জারি
করেছে অরথাৎ সেখানে সরকারি ও
পরকাশযভাবে দই ধরমের ইবাদাত করা
যাবে না তাই সৌদি সরকার যা
সেদেশের মসলিম জাতির পরতিনিধিতব
করছে তারও দায়িতব এই নিরদেশ
বাসতবায়ন করা এ বযাপারে সৌদি
সরকারের কোনো বিকলপের
এখতিয়ার নেই
অমসলিমদের পবিতর মককায় পরবেশে
নিষেধাজঞাও এর অনতরভকত যাকে
সামনে রেখে সারা বিশবের মসলিম
নামাজ আদায় করে এটি আসলে ঠিক
এরকম যেমন সব দেশেই এমনকি
গণতানতরিক দেশগলোতে পরযনত
সরকারি ও বিশেষায়িত সংসথাগলোর
সামনে lsquoপরবেশাধিকার সংরকষিতrsquo
লেখার রেওয়াজ পরচলিত বিভিনন
কারণে এ নিষেধাজঞা জারি করা হয়
যেমন নিরাপততা জনিত কারণে
অসথিরতা থেকে সতরকতা হিসেবে এবং
পবিতরতা ও সমমান রকষারথে
যেমনটি পরযোজয ইসলামের কষেতরে
কেননা অসবীকারকারীদের পবিতর
মককায় পরবেশ ইসলাম নিষিদধ
ঘোষণা করেছে অবিশেষায়িত
লোকদের উচিৎ অনযের ইচছার পরতি
সমমান দেখানো
এমনকি এ বযাপারে অনরপ কিছ করার
দাবিও বযকতি সবাধীনতার পরিপনথী
কেননা আপনি কারও কাছে তার বাড়িতে
পরবেশাধিকারের দাবি জানাতে পারেন না
এর ভিততিতে যে আপনি তাকে আপনার
বাড়িতে পরবেশের অনমতি দিয়েছেন
আর যেহেত আপনি তাকে আপনার
বাড়িতে পরবেশের আগে এ শরত করেন
নি অতএব এ বযাপারে পরতিটি মানষ
তার পরয়োজন ও অভিরচি মতো
সিদধানত নেওয়ার কষেতরে সবাধীন
ইসলাম সনতরাস ও উগরতাকে
পরতযাখযান করে
অনেক রাজনৈতিক নেতা ও চিনতাবিদই
আরবী lsquoউনফrsquo বা lsquoসহিংসতাrsquo
(Violence) শবদ ও lsquoইরlsquoআবrsquo বা
lsquoআতঙকসষটিrsquo (Terrorism) শবদের
মধযে তেমনি lsquoউনফrsquo বা lsquoসহিংসতাrsquo ও
lsquoআল-ইরlsquoআব আল-উদওয়ানীrsquo বা
lsquoআগরাসনrsquo শবদের মধযে এবং lsquoউনফrsquo
বা lsquoসহিংসতাrsquo ও lsquoআল-ইরlsquoআব আয-
যররীrsquo বা lsquoতরাসrsquo শবদের মধযে
পারথকয করেন না
বসতত বিদেশি শবদ সনতরাস বা
Terrorism-এর আরবী পরতিশবদ
lsquoইরহাবrsquo নয় lsquoইরlsquoআবrsquo কেননা
(lsquoইরহাবrsquo শবদের ধাতমল তথা) lsquoরাহবrsquo
শবদ ও তা থেকে নিরগত (الرهب)
শবদাবলি পবিতর করআনে তরাস নয়
বরং সাধারণ ভীতি-সঞচার অরথে
বযবহত হয়েছে অধিকাংশ কষেতরে
তাতে একটি নিরদিষট বসতর পরতি
সমমান পরদরশনের অরথ মিশে থাকে
অনযের বেলায় মানষ শবদটি বযবহার
তার অনিষট থেকে রকষা পাবার
জনয[54] আর এ শবদ কিনত lsquoআর-
রlsquoবrsquo (الرب) শবদ থেকে ভিনন অরথ
বহন করে কেননা lsquoরlsquoবrsquo শবদের অরথ
তীবর ভীতি-সঞচার অরথাৎ তরাস ও
আতঙক সষটি করা[55] মানষ এ
শবদটিকে বযবহার করে অনযকে
শায়েসতা করা এবং তাদের ওপর যলম
চালানোর জনয আবার এর কতক
সংঘটিত হয় উদদেশযহীন অনিরদিষট
ও সমপরণ অজঞাত কারণে[5৬]
তবে এতদসততবেও lsquoইরহাবrsquo ও
ইরlsquoআবrsquo শবদ আরবী ভাষায়
ধাতগতভাবে শধ মনদ বা শধ ভালোর
জনয বযবহত হয় না এদrsquoটি এমন
মাধযম যা ভালো বা মনদের
পকষাবলমবন করে না উভয় শবদ সতয
পরতিষঠা ও অনযায় পরতিরোধ এবং
নিপীড়িতের সাহাযযারথে বযবহত হয়
তেমনি শবদদrsquoটিকে নিরপরাধ নিরসতর
মানষের ওপর অতযাচার অনযায়ভাবে
মানষের সমপদ ও অধিকার হরণ এবং
তাদের ভমি দখলের জনযও বযবহত
হয়
তবে lsquoউনফrsquo ও lsquoইরহাবrsquo শবদের মধযে
সসপষট পারথকয বিদযমান lsquoউনফrsquo
অরথ চিনতা মতবাদ দরশন কিংবা
সাধারণ বা বিশেষ উদদেশয পরকাশে
সহিংস মাধযম বা উপায় অবলমবন
করা যেমন আঘাত শারীরিক নিরযাতন
বা অসতর বযবহার পকষানতরে
lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo শবদ দrsquoটি এর
চেয়ে বযাপক অরথ বহন করে কারণ
তা হতে পারে সহিংস উপায়ে আবার হতে
পারে অহিংস উপায়ে যেমন আকার-
ইঙগিতের মাধযমে ভয় দেখানো (তাকে
এভাবে ইঙগিতে জবাই করার ভয়
দেখানো) অথবা কথার দবারা ভয়
দেখানো যেমন অরথনৈতিকভাবে
বয়কটের হমকি কঠোরতা আরোপের
হমকি না খেয়ে মারার হমকি কিংবা
পরমাণ অসতর বযবহারের হমকি
ইতযাদি lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo
শবদদrsquoটি ভেটোর কষমতা পরয়োগ
অথবা জালেমের নিনদা পরসতাবে ভোট
দেওয়াকেও অনতরভকত করে অসতয
অভিযোগ পরচারের মাধযমেও lsquoইরহাবrsquo
ও lsquoইরlsquoআবrsquo সংঘটিত হতে পারে যেমন
টারগেট গোষঠীর সনাম কষণণ করতে
বা তার বিরদধে বিদবেষ ছড়াতে
অপপরচার ও পরচলিত মিডিয়া যদধের
কৌশল গরহণ করা
এই lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo কখনো
হামলার শিকার বযকতিকে তাৎকষণিক
হতযা করে না বরং তাকে দীরঘ শাসতি
ও ধারাবাহিক নিরযাতন করে ধৌকিয়ে
ধৌকিয়ে মারে অরথাৎ এ দrsquoটি কখনো
তৎকষণাৎ না মেরে ধীরে ধীরে মতয
ডেকে আনে এটি করা হয় তাকে গহহীন
অবসথা ও কষধার মখে ঠেলে দেওয়ার
মাধযমে
আমাদের চারপাশে লকষয করলে দেখা
যায় বযাপকারথে যারা lsquoইরহাবrsquo ও
lsquoইরlsquoআবrsquo করছে- যার মধযে রয়েছে
সতয পরতিষঠা করা ও নিরযাতন
পরতিরোধ করা অথবা অনযায়কে
পরশরয় দেওয়া ও অতযাচারীকে আশরয়
দেওয়া- এরা পরধানত তিন দলে
বিভকত যথা
1 যারা নীতি-নৈতিকতার বাইরে গিয়ে
শবদ দrsquoটিকে বযবহার করে তাদের
নিরযাতন বা অনযায়কে বৈধতা দেবার
জনয আখিরাতে বিশবাসী হোক বা না
হোক- এরা মানবসবভাব ও ঐশী
শিকষার বিরোধী যার মধযে ইসলামের
শিকষা ও আদরশও রয়েছে
2 যারা যথাসাধয পরাকতিক নিয়মের
মধযে থেকে শবদদrsquoটি বযবহার করে
আতমরকষা কিংবা অকষম ও নিরপরাধ
লোকদের থেকে যলম পরতিরোধের
উদদেশে তারা আখিরাত বা শাশবত
জীবনে বিশবাস রাখে না তারা এসব
করে আললাহ পরদতত সসথ বিবেকের
তাড়নায়
3 যারা শবদদrsquoটি বযবহার করে
আতমরকষা বা অকষম ও নিরপরাধ
লোকদের ওপর যলম পরতিরোধে
যথাসমভব শরীlsquoআত ও পরাকতিক
নিয়মের মধযে থেকে তারা বিশবাস করে
এজনয তারা আখিরাত বা শাশবত
জীবনে বিশাল পরতিদান লাভ করবে
অতএব তারা এসব করে সসথ বিবেক ও
অননত জীবনের বিশাল পরতিদানের
পরতযাশায়
এ জনযই দেখা যায় শেষোকত দলটি
আতমোৎসরগ ও আতম নিবেদনে
সবচে বেশি আগরহী ও সাহসী হয়
কেননা তার দষটিতে পারথিব জীবন
কেবল উসিলা বা বিধেয় মাতর মাকসাদ
বা উদদেশয নয় সমভবত এটিই
মানষকে নিজেদের সমমানিত সথান
নিজেদের মাতভমি ও নিপীড়িত
সবজনদের রকষায় পরাণোৎসরগমলক
জিহাদী কারযকরমে অংশগরহণে
উদবদধ করে
সাধারণভাবে আতমঘাতমলক
তৎপরতার বযাপারে ইসলামের
দষটিভঙগি ইসলামের আইন
বযাখযাকারী তথা ফিকহবিদদের
মতভিননতা হেত বিভিনন হয় তাদের
অনেকে কাজটিকে বৈধ বলেন এবং এ
কাজের পরতি উদবদধও করেন
যতকষণ তা হয় আতমরকষারথে এবং
অনযায়ভাবে অনযের ওপর
সীমালঙঘনের ইচছে ছাড়া উপরনত তা
নিরপরাধ বযকতির বিরদধেও
পরিচালিত না হয় যাদের ওপর ইসলাম
যদধকষেতরে পরযনত হামলার অনমতি
দেয় না যেমন নারী শিশ বদধ ও
নিরসতর বযকতি অনরপভাবে সব
রাজনৈতিক বযবসথাতেই মানবরচিত
আইন নিজের দষটিতে বৈধ
যদধকষেতরে সেনাদেরকে জীবনের ঝৌকি
নিতে এমনকি জীবন উৎসরগ করতে
পরযনত উৎসাহিত করে পকষানতরে
অনেক শরীlsquoআতবিদ কাজটিকে
আতমহতযার সঙগে তলনা করে হারাম
বলে অভিহিত করেন তাদের মতে
জীবনের ঝৌকি নেওয়া ভিনন জিনিস
কারণ সেখানে জীবন রকষার
সমভাবনাই পরবল তাছাড়া অধিকাংশ
কষেতরে ঝৌকি গরহণকারীর মতযর
কোনো অভিপরায়ই থাকে না
আসমানী রিসালত বা ঐশী বারতাপরাপত
ধরম পালনকারী বযকতিমাতরেই
জানেন দনিয়ার এ জীবন মলতঃ একটি
পরীকষাতলয এর মাধযমে চিরসথায়ী
জীবনে পরসকারযোগয সৎকরমশীল
এবং অননত জীবনে তিরসকারযোগয
অসৎ বযকতির মধযে পারথকয রচনা
করা হয় আর সতযপনথী ও
মিথযাপনথীর সংঘাত এবং নিপীড়ক ও
নিপীড়িতের দবনদব এ পরীকষার একটি
অংশ মাতর আললাহ তাlsquoআলা পবিতর
করআনে বলেন
مت ٱلنااس بعضهم ببعض لاهد ﴿ولول دفع ٱللا
مع وبي صو جد يذكر فيها ٱسم ٱللا ت ومس ع وصلو
[٤٠]الحج كثيرا﴾
ldquoআর আললাহ যদি মানবজাতির
একদলকে অপর দল দবারা দমন না
করতেন তবে বিধসত হয়ে যেত খসটান
সননযাসীদের আশরম গিরজা
ইয়াহদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমহ-
যেখানে আললাহর নাম অধিক সমরণ
করা হয়rdquo [সরা আল-হজ আয়াত 40]
lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo কখনো
সংঘটনের ইচছা ছাড়া সংঘটিত হতে
পারে ভলকরমেও হতে পারে কখনো
তবে এ বযাপারে তাকে সতরক করার
পরও যদি সে এমন কাজ থেকে নিবত না
হয় যা lsquoইরহাবrsquo বা lsquoইরlsquoআবrsquo-এর
কারণ হয় তখন তা ইচছাকত lsquoইরহাবrsquo
বা lsquoইরlsquoআবrsquo বলেই গণয হবে
ইসলাম যেহেত মানষকে দনিয়া ও
আখিরাতের বযাপক শানতি কিংবা
অনতত নানা ধরমের মানষের মধযে শধ
দনিয়ার শানতির পরতি আহবান জানায়
তাই এ ধরম অনযের ওপর অতযাচার বা
সীমালঙঘনমলক lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo
সংঘটনকে কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা
করে তীবরভাবে একে পরতযাখান করে
এবং সীমালঙঘন বা উৎপীড়নমলক
lsquoইরহাবrsquo ও lsquoইরlsquoআবrsquo এর জনয
দষটানতমলক শাসতি নিশচিত করে
হযাৌ ইসলাম এতদভয়ের অনমতি দেয়
ঠিক তবে তা শাসতিকে অপরাধী
পরযনত সীমিত রাখা এবং অনমোদিত
কষেতর অতিকরম না করার শরতে
অনমোদিত কষেতর হলো
আতমরকষা শতর দমন ও নিরযাতিতের
সাহাযযের জনয বিশেষত যলম
পরতিরোধের কোনো কষমতাই সেসব
দরবল ও অকষম বযকতির নেই একেই
ইসলামে lsquoজিহাদrsquo[57] অথবা lsquoকিতাল
ফি সাবিলিললাহrsquo বলা হয় যার
উদদেশয কেবল নিরসতর অকষম ও
দরবলদের থেকে যলম তলে দেওয়া
আললাহ তাlsquoআলা বলেন
وٱلمستضعفين من تلون ف سبي ٱللا﴿وما لكم ل تق
ن ٱلاذين يقولون ربانا جال وٱلن ساء وٱلولد ٱلر
ذه ٱلقرية ٱلظاالم أهلها وٱجع لانا من أخرجنا من ه
ا وٱجع لانا من لادنك نصيرا ﴾ ٧٥لادنك ولي
[٧٥]النساء
ldquoআর তোমাদের কী হলো যে তোমরা
আললাহর রাসতায় লড়াই করছ না
অথচ দরবল পরষ নারী ও শিশরা বলছে
lsquoহে আমাদের রব আমাদেরকে বের
করন এ জনপদ থেকেrsquo যার অধিবাসীরা
যালিম এবং আমাদের জনয আপনার
পকষ থেকে একজন অভিভাবক
নিরধারণ করন আর নিরধারণ করন
আপনার পকষ থেকে একজন
সাহাযযকারীrdquo [সরা আন-নিসা আয়াত
75]
হাদীসে কদসীতে আললাহ তাlsquoআলা
বলেন
لى نفسى وجعلته raquo لم مت الظ بادى إن ى حرا يا
ما فل تظالموا laquoبينكم محرا
lsquoহে আমার বানদা আমি নিজের ওপর
যলম হারাম করেছি এবং তোমাদের
জনযও একে হারাম করেছি অতএব
তোমরা একে অপরের ওপর যলম
করো নাrsquo[5৮]
এ কারণেই মসলিমদের কষেতরে এমন
বিচিতর নয় যে তারা তাদের
পরজাসাধারণ (যিমমি) বা সংখযালঘদের
বাৌচাতেও জিহাদ করছে[59] এককথায়
কারও ওপর যলম চালানোর জনয নয়
ইসলামে lsquoজিহাদrsquo নামক বিধান রাখা
হয়েছে বৈধ পরতিরোধের জনয আর
নিরযাতন পরতিরোধের পদকষেপকে
গণতানতরিক ও অনযানয দেশের মানব
রচিত সকল বযবসথাই সমরথন করে এ
উদদেশযেই তো সকল রাষটর
শকতিশালী সেনাবাহিনী গঠন করে
নিজেকে সসজজিত করে বিধবংসী সব
অসতর দিয়ে
আতমরকষামলক এবং আকরমণাতমক
ভীতিপরদরশনের মধযে পারথকয
করবো কীভাবে
ইতোমধযে আমাদের সামনে সপষট
হয়েছে ভীতিপরদরশন ও ভয় দেখানো
শবদটিকে সনতরাসী (জালেম) ও
সনতরাসের শিকার (মজলম) উভয়েই
বযবহার করে এখন পরশন হলো
তাহলে আমরা এদয়ের মধযে জালেম ও
মজলমকে পারথকয করবো কীভাবে
আতমরকষারথে ভীতিপরদরশন আর
সনতরাসমলক ভীতিপরদরশনের মধযে
মোটাদাগে পারথকয এই
অনযের বিরদধে কে পরথমে তরাস বা
সনতরাসের সচনা করেছে যে সচনা
করেছে সে চরচা করছে আকরমণাতমক
ভীতিপরদরশন আর যিনি পরতিরোধ
করছেন তিনি হলেন আতমরকষাকারী
একইভাবে যিনি জালেমকে বসতগত বা
নৈতিকভাবে সমরথন করবেন তিনি
আকরমণাতমক ভীতিপরদরশনকারীর
মধযে অনতরভকত হবেন পকষানতরে
যিনি মজলমকে সাহাযয করবেন তিনি
আতমরকষাকারী বলে গণয হবেন
এটা ঠিক সচরাচর সহজে সচনাকারী
শনাকত করা যায় না কারণ জালেম
পকষের গরিমা ও অহঙকার বেশি হয়
নিপীড়কের শকতি হয় পরবতপরমাণ
এমনকি মজলমের চেয়ে জালেমের
পরমাণও হয় দঢ়তর তথাপি বিষয়টি
অনযভাবে খোলাসা করা সমভব
তবে সচনাকারী শনাকত করা মশকিল
হলে অনযভাবে তা চিlrmlrmহনত করা যায়
যেমন আমরা উভয় পকষের মধযে
মিমাংসার চেষটা করে দেখবো যে
পকষ ইনসাফভিততিক সালিশের
সিদধানত মেনে নিতে অসবীকতি জানাবে
সে-ই জালেম হোক সে মসলিম কারণ
আললাহ তাlsquoআলা বলেন
ؤمنين ٱقتتلوا فأصلحوا بينهما ﴿وإن طائفتان من ٱلم
تلوا ٱلات تبغ لى ٱلأخرى فق هما فإن بغت إحدى
فإن فاءت فأصلحوا بينهما أمر ٱللا ء إلى حتاى تف
يحب إنا ٱللا﴾ ٩ٱلمقسطين بٱلعدل وأقسطوا
[٩]الحجرات
ldquoআর যদি মমিনদের দrsquoদল যদধে লিপত
হয় তাহলে তোমরা তাদের মধযে
মীমাংসা করে দাও অতঃপর যদি তাদের
একদল অপর দলের ওপর বাড়াবাড়ি
করে তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে
তার বিরদধে তোমরা যদধ কর
যতকষণ না সে দলটি আললাহর
নিরদেশের দিকে ফিরে আসে তারপর
যদি দলটি ফিরে আসে তাহলে তাদের
মধযে ইনসাফের সাথে মীমাংসা কর
এবং নযায়বিচার কর নিশচয় আললাহ
নযায়বিচারকারীদের ভালোবাসেনrdquo
[সরা আল-হজরাত আয়াত 9]
সনতরাস ও আগরাসী হামলা কখনো
ভিনন রপ ধারণ করে তা হলো
অভিযোগ পরমাণ না করেই কোনো
মানষকে শাসতি দেওয়া কিংবা কোনো
কষদর গোষঠীর বিরদধে অভিযোগের
ওপর নিরভর করে একটি জাতিকে বা
পরো মানব সমাজকে শাসতি দেওয়া এ
কাজ ইসলাম কিছতেই সমরথন করে না
শাসতি দিলে তা অবশযই অনমোদিত
সীমা অতিকরম না করতে হবে
অভিযোগ পরমাণের পরও শাসতি
থাকতে হবে যকতিগরাহয সীমারেখার
ভেতর পরনত শাসতির পরকতিও হওয়া
চাই অভিনন অতযাচারী বা জালেমের
ভিননতায় তা যেন ভিনন ভিনন না হয়
অতএব জালেম দরবল হলে বা মিতর না
হলে তার শাসতি কঠোর হবে না তেমনি
জালেম শকতিধর মিতর বা তার কাছে
কোনো সবারথ থাকলে তার শাসতি লঘ
করা হবে না সরবদা শাসতি হবে
ইনসাফের আলোয় উদভাসিত কেননা
আললাহ তাlsquoআলা আমাদেরকে
সরবাবসথায় ইনসাফের নিরদেশ
দিয়েছেন আললাহ তাlsquoআলা বলেন
هداء بٱلق مين للا أيها ٱلاذين ءامنوا كونوا قوا سط ﴿ي
ن دلوا هو ول يجرمناكم ألا تعدلوا ٱ لى ان قوم
خبير بما تعملون إنا ٱللا وٱتاقوا ٱللا أقرب للتاقوى
[٨دة ]المائ﴾ ٨
ldquoহে মমিনগণ তোমরা আললাহর জনয
নযায়ের সাথে সাকষদানকারী হিসেবে
সদা দণডায়মান হও কোনো কওমের
পরতি শতরতা যেন তোমাদেরকে
কোনোভাবে পররোচিত না করে যে
তোমরা ইনসাফ করবে না তোমরা
ইনসাফ কর তা তাকওয়ার নিকটতর
এবং আললাহকে ভয় কর নিশচয়
তোমরা যা কর আললাহ সে বিষয়ে
সবিশেষ অবহিতrdquo [সরা আল-মায়েদাহ
আয়াত ৮]
তবে ইসলামের এসব সসপষট নীতিমালা
থাকার পরও মসলিম নামধারী অনেকে
ইসলামের মহান আদরশকে উপেকষা
করে আললাহ তাlsquoআলার নিরদেশ
অমানয করে তারা সনতরাস ও
আগরাসনের পথ বেছে নেয় এটা
সবাভাবিক যে পরতিটি রাষটরই তার
নাগরিকদের সঠিক আচরণ শিকষা দেয়
তারপরও তো পরতিটি দেশেই
অপরাধীতে পরণ অনেক কয়েদখানা
থাকে তাই বলে কি আমরা বলবো যে
অমক জাতি পরোটাই অপরাধী কিংবা
অমক জাতি তার সদসযদের অপরাধ
শিকষা দেয় আমেরিকার এক সমীকষায়
দেখা গেছে 19৮2-199৬ সাল পরযনত
মারকিন যকতরাষটরে 175টি অনযায়
হামলা বা সনতরাস সংঘটিত হয়েছে এর
অধিকাংশ সংঘটিত হয়েছে খরিসটান
তারপর ইহদিদের দবারা তাই বলে কি
আমরা বলবো সকল খরিসটান বা সব
ইহদিই সনতরাসী বা আগরাসী অবশযই
না
ইসলাম কীভাবে সনতরাস পরতিরোধ
করে
ইসলাম পরধানত তিন উপায়ে হমকি
সনতরাস বা বাড়াবাড়ির পরতিরোধ
করে
পরথমত বালযকাল থেকেই সশিকষা
পরদান করা যলম ও বাড়াবাড়ি হারাম
এর পরতিরোধ জররি এবং নযায় ও
সামযের ঝানডাবাহী হবার চেতনায় গড়ে
তোলা
দবিতীয়ত যেসব কারণ ও সমসযা থেকে
সনতরাস ও সীমালঙঘনের সচনা সেসব
নিরমল করা আর তা সবার পরাপয
অধিকার পরতিষঠা নযায় বিচার
ইনসাফের আচরণ ভালো ও তাকওয়ার
কাজে পরসপর সহযোগিতা এবং
বৈষমযহীনভাবে জীবনোপকরণ
সরবরাহের মাধযমে এ জনযই
ইসলামের দবিতীয় খলীফা উমার ইবনল
খাততাব রাদিয়াললাহ আনহ করতক
দরভিকষ ও মনবানতরের বছর চোরের
হাত কাটার বিধান কারযকর সথগিত
করা আশচরযের কিছ নয় এও বিচিতর
নয় যে তিনি কয়েকজন দাসকে কষমা
করে দেন যারা একটি উষটরী চরি করে
নিজেদের জঠর জবালা মেটাতে তা জবাই
করেছিল বরং তিনি তাদের মনিবকে
তাদের অনাহারের রাখার জনয ভৎরসনা
করেন ঐ উষটরীর মলযও তিনি
পরিশোধ করে দেন বাইতল মাল বা
রাষটরীয় কোষাগার থেকে[৬0]
অতএব শধ সনতরাসের অভিযোগ আর
একেঅপরকে দোষারোপ পরযনত
সীমিত থাকলে হবে না দষকতিকারী ও
সনতরাসীর বিরদধে পরোয়ানা জারির
আগে এর কারণ অনসনধান করতে হবে
তাও করতে হবে নিরমল আমরা
সনতরাসের বিরদধে অপরিকলপিত ও
এলোপাতাড়ি পদকষেপের বিরদধে
নিনদা জানাই যা নিরযাতিতকে কেবল
নিরাশ ও হতাশ করে পরায় কষেতরেই
যার শিকার হয় নিরদোষ ও নিরসতর
বযকতি অথচ তারা যে সনতরাস ও
আগরাসনের মোকাবেলা করে আসছে
এবং হাজার হাজার নিরপরাধ লোক যার
শিকারে পরিণত হচছে তাকে উপেকষা
করা হয়
সনতরাসের শিকার কতিপয় দেশ
কখনো সনতরাসের জনয অজঞাত
পকষকে দোষারোপ করে অথচ এর
কারণকে উপেকষা করে ঘটিত সনতরাস
তো কখনো ঐ সনতরাসের সবাভাবিক
পরতিকরিয়াতেও হয়ে থাকে যার
মাধযমে এ দেশ মলতঃ শতরকে
অবযাহতভাবে পষঠপোষকতা দিয়ে
আসছে এসব দেশ কখনো সনতরাস
দমনে কঠিনতর পদকষেপ নিয়ে
আলোচনা করে এবং পরকানতরে
আগনে ঘি ঢালে অথচ একেবারে হাতের
সমাধানকে অবজঞা ও উপেকষা করে
আর কিছ নয় সনতরাসের
উৎসগলোকে বনধ করে দেওয়াই হাতের
কাছের সমাধান
কখনো দেখা যায় রাষটরের করতপকষ
তার বিভিনন বাহিনীর সতর (যেমন
গোয়েনদা বাহিনী বা পরতিরকষা
মনতরাণালয়ের কতিপয় উরধবতন
করমকরতা কিংবা বিদেশে করমরত
আমলাদের) সরবরাহকত ভল তথযের
ভিততিতে তাড়াহড়া করে সিদধানত
গরহণ করে এসব করমকরতার উচিৎ
পরকত তথয উদঘাটনে আরও
বেশি সচেষট হওয়া নিরপেকষ সতর ও
সতরের সবিসতত ঘাৌটিগলো কী বলছে
তা জানা এবং সীমিত সতর থেকে
পরাপত তথযের ওপর নিরভরশীল না
হওয়া কারণ এ সতর কখনো ইচছায়
বা অনিচছায় বিভরানত করে কিছ
কষেতরে দেখা যায় বৈরী শকতি তার
বেৌধে দেওয়া সিদধানত বা পদকষেপ
গরহণে নানা উপায়ে চাপ পরয়োগ করে
এই নিনদনীয় ও অনৈতিক পনথাগলোর
মধযে রয়েছে ভল তথয দিয়ে সিদধানত
গরহণ করানো অরথ দিয়ে পররোচিত
করা বিভিনন সামাজিক সংসথার
মাধযমে করমকরতাদের অবমাননাকর
ও অসবিধাজনক অবসথায় ফেলা
অতঃপর তাদের মাধযমে তাদের হমকি
দেওয়া এবং অপরাধ সংগঠিত করে
শতরদের দিকে তার দায় চাপানো
এখানেই আসে জাতির বিদবান শরেণির
ভমিকার পরসঙগ তাদেরই করতবয
জাতি ও জাতীয় নেততবকে আলোকিত
করতে পরয়াসী হওয়া যাতে তারা
কখনো রাতের ষড়যনতর সকষম
চকরানত কিংবা ভাসাভাসা যকতিতে
বিভরানত না হন এসব শাসক জাতিকে
অযৌকতিক ও সববিরোধী সিদধানত
হজম করতে এসব বযবহার করে
থাকেন
ততীয়ত অনযায় থেকে নিবারণ করে
এমন শাসতি নিরধারণ করা তবে এ
শাসতি নিরধারিত হবে অকাটয
পরমাণাদির মাধযমে অভিযকতকরণ
এবং পঙঘানপঙখ জেরা-তদনতের পর
সেখানে বিচারকের জনয বযকতিগত
সবীকারোকতি অসবীকার করারও
অবকাশ থাকবে কেননা তদনতে
অবহেলা করার পর নিরপরাধ লোকদের
ওপর শাসতি পরয়োগ অথবা
অনমোদিত সীমা ছাড়িয়ে
পরতিশোধসপহা থেকে শাসতি পরদান
পরায় কষেতরেই পরতিশোধমলক
এলোপাতারি সনতরাস উসকে দেয়
করআন শিকষার পরতিষঠান কি
সনতরাস ও উগরবাদ ডেকে আনে
পরবের উদধতিগলো থেকে যেমন
আমাদের সামনে সপষট হলো পবিতর
করআন মলতঃ আনতরজাতিক শানতি
এবং মানষের পারথিব ও অপারথিব
জীবনের শানতির পরতি একটি আহবান
এটি তেমনি ধরমীয় বিভিননতা সততবেও
অনযের অধিকার পরদানে একটি
আহবান
যে বযকতি উপযকত জঞান নিয়ে এ
করআন অধযয়ন করবে তিনি দেখবেন
তাতে সকল মানষের সঙগে
সকমারবততি ও নানদনিক আচরণে
উদবদধ করা হয়েছে বরং তাদের পরতি
অনগরহ-ভালোবাসা এবং দনিয়া-
আখিরাতের তাদের কলযাণ বাসতবায়নে
সচেষট হতে অনপরাণিত করা হয়েছে
আললাহ তাlsquoআলা পবিতর করআনে
বলেন
ين ولم تلوكم ف ٱلد ن ٱلاذين لم يق كم ٱللا ﴿لا ينهى
وهم وتقسطوا إليهم إنا ركم أن تبر ن دي يخرجوكم م
يحب ٱلمقسطين ن ٱلاذين ٨ٱللا كم ٱللا إناما ينهى
هروا ركم وظ ن دي ين وأخرجوكم م تلوكم ف ٱلد ق
ئك هم إخراجكم أن تولاوهم ومن يتولاهم فأول لى
لمون [٩ ٨ ]الممتحنة﴾ ٩ٱلظا
ldquoদীনের বযাপারে যারা তোমাদের
বিরদধে যদধ করেনি এবং তোমাদেরকে
তোমাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করে
দেয়নি তাদের পরতি সদয় বযবহার
করতে এবং তাদের পরতি নযায়বিচার
করতে আললাহ তোমাদেরকে নিষেধ
করছেন না নিশচয় আললাহ নযায়
পরায়ণদের ভালোবাসেন আললাহ
কেবল তাদের সাথেই বনধতব করতে
নিষেধ করেছেন যারা দীনের বযাপারে
তোমাদের বিরদধে যদধ করেছে আর
তোমাদেরকে তোমাদের বাড়ী-ঘর
থেকে বের করে দিয়েছে এবং
তোমাদেরকে বের করে দেওয়ার
বযাপারে সহায়তা করেছে আর যারা
তাদের সাথে বনধতব করে তারাই তো
যালিমrdquo [সরা আল-মমতাহিনা আয়াত
৮-9]
আল-করআনে অমসলিম আতমীয়-
সবজন এবং পিতামাতার হক আদায়ে
উদবদধ করা হয়েছে আললাহ তাlsquoআলা
বলেন
ك لتشرك هد لديه حسنا وإن ج ن بو نس ينا ٱلإ ﴿ووصا
ا مرج إل لم فل تطعهما عكم ب ما ليس لك بهۦ
[٨]العنكبوت ﴾ ٨فأنب ئكم بما كنتم تعملون
ldquoআর আমরা মানষকে নিরদেশ দিয়েছি
তার পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করতে
তবে যদি তারা তোমার উপর পরচেষটা
চালায় আমার সাথে এমন কিছকে শরীক
করতে যার সমপরকে তোমার কোনো
জঞান নেই তাহলে তমি তাদের
আনগতয করবে না আমার দিকেই
তোমাদের পরতযাবরতন অতঃপর
তোমরা যা করতে আমি তা
তোমাদেরকে জানিয়ে দেবrdquo [সরা আল-
আনকাবত আয়াত ৮]
আললাহ তাlsquoআলা আরও বলেন
لى وهن هۥ وهنا لديه حملته أم ن بو نس ينا ٱلإ ﴿ووصا
ا لديك إل كر ل ولو امين أن ٱ لهۥ ف وفص
أن تشرك ب ما ١٤ٱلمصير لى هداك وإن ج
لم فل تطعهما وصاحبهما ف ٱلدنيا ليس لك بهۦ
ا ث ا مرجعكم معروفا وٱتابع سبي من أناب إل ما إل
[١٥ ١٤]لقمان ﴾ ١٥فأنب ئكم بما كنتم تعملون
ldquoআর আমরা মানষকে তার মাতাপিতার
বযাপারে (সদাচরণের) নিরদেশ দিয়েছি
তার মা কষটের পর কষট ভোগ করে
তাকে গরভে ধারণ করে আর তার দধ
ছাড়ানো হয় দrsquoবছরে সতরাং আমার ও
তোমার পিতা-মাতার শকরিয়া আদায়
কর পরতযাবরতন তো আমার কাছেই
আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে
শিরক করতে জোর চেষটা করে যে
বিষয়ে তোমার কোনো জঞান নেই
তখন তাদের আনগতয করবে না এবং
দনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে
সদভাবে আর অনসরণ কর তার পথ যে
আমার অভিমখী হয় তারপর আমার
কাছেই তোমাদের পরতযাবরতন তখন
আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব যা
তোমরা করতেrdquo [সরা লকমান আয়াত
14-15]
পবিতর করআনে এমন অনেক আয়াত
রয়েছে যা মানষের মরযাদা রকষায়
ইসলামের আগরহ তলে ধরে
আয়াতগলো মানষের পরতি মানষকে
অকতরিম ভকতি-সমমান পরদরশন
করতেও উদবদধ করে সরবোপরি তা
এমন শকতিপঞজের পরশংসা করে যারা
অনযের ওপর যলম বা অসদাচরণ করে
না
পবিতর করআনে আরও আছে নবী
মহামমাদ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললামের লড়াই-সংগরামের
ইতিহাস আছে যারা তাৌকে দাওয়াতের
কারণে শতরতা দেখিয়েছে তাদের এবং
তিনি ও তাৌর অনসারীদের ওপর চলা
তেরো বছরবযাপী নিরযাতন-
অতযাচারের ওপর কীভাবে ধৈরযয
ধরেছেন তার বিবরণ এরপরই কেবল
আললাহ তাlsquoআলা তাৌকে
আতমরকষারথে অতযাচারীদের ওপর
যেমন করম তেমন ফল হিসেবে
পরতিরোধ করার অনমতি দিয়েছেন
পথিবীতে নানা বরণ-ধরম ও রাজনৈতিক
গোষঠী করতক অনেক যদধ সংঘটিত
হয়েছে এসব পকষ-বিপকষ যোদধা বহ
রকমের কঠোর পনথা অবলমবন
করেছে যেমন সহিংসতা রকতপাত
মানসিক আতমিক ও চৈনতিক দমন-
পীড়ন এরা সবাই কি সনতরাসী কিংবা
সবাই কি আতমরকষাকারী এদের
সনতরাস কি আতমরকষারথে ছিল না
আগরাসন
পরতযেক জাতির মধযেই ফৌজি ও
সামরিক সকল ও একাডেমি এবং শিকষা
পরতিষঠান ও পরশিকষণ কেনদর
থাকে পরতিটি জাতিই তার সৈনযদের
বযাপক বিধবংসী অসতরশসতরের দকষ
বযবহারে পরশিকষণ দিয়ে থাকে
সামগরিকভাবে পরযকতি ও
অরথনৈতিকভাবে সমদধ দেশগলোই
বেশি ধবংসাতমক অসতরের
অবকাঠামো উননয়নে অগিয়ে এরাই
পথিবীর নানা দেশ ও জাতির কাছে
অসতর বিকরি করে তাদের কাছে
পথিবীর সবচে বেশি পরশিকষিত
সেনাবাহিনী রয়েছে আরও বেশি উননত
পরযকতির ধবংসাতমক অসতর
আবিষকারে তাদের সমদধ গবেষণাগার
রয়েছে- এ কথা বলতে তারা গরব ও
সমমান বোধ করে আমরা কি তাহলে
সব ধরনের সামরিক সংসথা ও
পরতিষঠান বনধ করা পরয়োজন বলে
দাবি করবো আর সব রাষটরই কি
সনতরাস ও জঙগিবাদ লালন করছে
যেসব দেশ তাদের সামরিক শকতি বদধি
করছে তারা সবাই কি সনতরাস ও
জঙগিবাদের পরতি তীবরভাবে আগরহী
অবশযই না কেননা বদধিমান
বযকতিমাতরেই যলম বা অতযাচার
থেকে আতমরকষারথে পরতিরোধের
পরব পরসততি গরহণ করাকে জররি
মনে করেন বিশবের পরতিটি ঐশী ও
মানবরচিত আইনও নিজের জীবন
সমপদ ভমি ও ধরম রকষায়
পরতিরোধের অধিকার সংরকষণ করে
সতরাং যদি পবিতর করআনে ইসলামের
পরাথমিক যগের মসলিম ও তাদের
শতরদের লড়াই-ইতিহাস আছে বলে তার
শিকষা সনতরাস ও জঙগিবাদের জনম
দেয় বলে অভিযোগ করা হয় তাহলে
তো অনয সব জাতির ইতিহাস পঠন-
পাঠনও একই অভিযোগে অভিযকত
হবে আমরা সেসব ইতিহাসে দেখতে পাই
সে জাতির তীবর গহযদধ ও অনয
জাতির সঙগে সংঘটিত রকতাকত
লড়াইয়ের হাজারো গলপ-উপাখযান
তাই বলে কি আমরা এসব ঘটনা
উগরবাদ ও চরমপনথার বীজ বোপন
করার অভিযোগে পরতযেক জাতিকে
তার ইতিহাস শিকষাদান থেকে বিরত
থাকতে বলবো শধ তাই নয়
বিশবযদধের ঘটনাবলি এবং বিভিনন
জাতির খেয়ালী যদধ ও কোনো দেশের
নাগরিক বিভিনন দলের অনাকাঙকষিত
লড়াইয়ের ওপর নিরমিত অনেক
চলচচিতর এবং ডকমেনটারি ভিডিওও
পাওয়া যায় এসব ডকমেনটারি ফিলম
তো বিভিনন ঘটনার নানা অপরকাশিত
তথয ও অনেক বাসতব সতযও তলে
ধরে তদপরি তাতে যদধে
অংশগরহণকারী নানা জাতি-গোষঠীর
মধযে বিদবেষ ও উগরতার বিষবাষপ
লকিয়ে থাকে তাই বলে কি এসব
ডকমেনটারি চলচচিতর নিষিদধ করা
উচিৎ নাকি বাসতবতাকে কলষিত করা
এবং কলপনা ও দিবাসবপনের ঘোরে
আনতরজাতিক সমপরক নিরমাণ করা
শরেয়
এছাড়া অনযানয ধরমের পবিতর
গরনথগলোতেও এত বেশি এ ধরনের
বাণী রয়েছে যদি সেগলোকে তার
পরবাপর আলোচনা বাদ দিয়ে সংকলিত
করা হয় তাহলে নিশচিত তাকে সনতরাস
ও চরমপনথায় পররোচিতকারী গরনথ
হিসেবে গণয করা যাবে এর উদাহরণ
আমরা দেখতে পাই বাইবেলের Old
Testament বা পরাতন সমাচারে lsquoযখন
তোমাকে তোমার পরভ সেই ভমিতে
নিয়ে যাবেন যেখানে তমি পরবেশ করতে
যাচছো তার মালিক হবার জনয এবং
তোমার সামনে আগত জাতিগলোকে
বিতাড়ন করার জনয তারা সাতটি জাতি
যারা তোমার চেয়ে বেশি ও বড় এবং
যখন তোমার পরভ তোমার সামনে
তাদের দমন করবেন এবং তমি তাদের
আঘাত করবে তখন তমি তাদের
সমপরণ অবৈধ ঘোষণা করবে তাদের
সাথে কোনো চকতি করবে না তাদের
ওপর কোনো দয়া দেখাবে না এবং
তাদের কারো সঙগে বৈবাহিক
সমপরকেও জড়াবে নাrsquo[৬1]
আরও যেমন রয়েছে lsquoএখন তোমরা
পরতিটি ছেলে শিশকে হতযা করো
যেসব নারী সমপরকে জানা যায়
কোনো পরষের শযযাসঙগী হয়েছে
তাদেরও হতযা করো তবে যেসব মেয়ে
শিশ সমপরকে জানা যায় কোনো পরষ
করতক বযবহত হয় নি তাদের তোমরা
নিজেদের জনয জীবিত
রাখোrsquo[৬2]
অনরপ New Testament বা বাইবেলের
নতন সমাচারেও এমন বাণী রয়েছে
যেমন lsquoতবে আমার যেসব শতর চায় না
আমি তাদের ওপর করততব দেখাই
তাদের তোমরা এখানে নিয়ে আসো
এবং আমার সামনে তাদের জবাই
করোrsquo[৬3]
তাহলে এসবের পরিপরেকষিতে আমরা
কি বলবো গরনথগলো সনতরাস ও
চরমপনথাকে উৎসাহিত করে কিংবা
গরনথগলো থেকে এসব বাণী মছে ফেলা
উচিৎ অবশযই না বাণীগলো
বিশেষভাবে পবিতর বরং এগলোকে
তার পরবাপর পরেকষাপটসহ অধযয়ন
করতে হবে তাহলে এর মল বাণী ও
পরকত মরম অনধাবন করা সমভব
হবে
ইসলামে নারী
ইসলাম তার শিকষা ও আদরশের
মাধযমে মানবপরকতিকে- যা দিয়ে
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে সষটি
করেছেন- সমরথন ও শকতিশালী করে
আললাহ তাlsquoআলা মানষকে দবযরথহীন
কিছ মৌলিক বৈশিষটয দিয়ে নারী-পরষ
দই শরেণিতে সষটি করেছেন এরা যাতে
একে অপরের সমপরক হয় এ কষেতরে
নারী-পরষ ঠিক রাত-দিনের মতো যে
দয়ের সমনবয়ে হয় একটি দিন কিংবা
বলা যায় ইতি ও নেতিবাচক সরোত
তথা জোয়ার-ভাটার মতো যে দইয়ের
যৌগে গঠিত হয় বিদযৎ-শকতি এ
বিদযৎ-শকতি সঞচার করে বহ জড়
পদারথে পরাণ ও পরাণসপনদন
আললাহ তাlsquoআলা নারীকে যেসব অননয
বৈশিষটযে শোভিত করেছেন তার
অনযতম হলো আচার-আচরণে
আহলাদের পরাচরয ও আবেগের
বাহলয তেমনি গঠন-পরকতিতেও নারী
কোমলতা ও এমন নমরতায় সমজজবল
পরষের সঙগে বসবাসরত পরিবেশে যা
তার সবাধীনতাকে করে সীমাবদধ
আললাহ তাlsquoআলা নারীকে সবভাব-
চরিতরেও বানিয়েছেন কোমল যাতে সে
শষে নিতে পারে পরষের যাবতীয়
রকষতা কেড়ে নিতে পারে তার হদয়-
অনতর নারীর সাননিধয পরষকে দেবে
মানসিক আশরয় যেখানে এলে তার
টেনশন-অসথিরতা লঘ হবে কেটে যাবে
সব কলানতি ও বিসবাদ একইভাবে সে
যাতে হয় মমতাময়ী এবং শিশর লালন-
পালনে উপযকত আবেগ ও
অনভতিপরবণ এক কোমল সষটি নারী
অপরের সখের জনয নারীই পারে সবচে
বেশি তযাগের মহতব পরকাশ করতে
এসব মানবিক গণ ও সহজাত উপাদান
ছাড়া কোনো পরিবার ও সমাজ টেকসই
হয় না বৈজঞানিক অনসনধান পরমাণ
করেছে নারীই সবচে বেশি কঠিন
মানসিক চাপ বহন করতে সকষম
মানসিক আঘাত সারাতে নারীই রাখতে
পারে সবচেয়ে বেশি কারযকর ভমিকা
অনযদিকে আললাহ তাlsquoআলা পরষকে
সষটি করেছেন রঢ়তা ও কঠোরতা
দিয়ে যা তাকে সথান ও কালের
বিবেচনায় বহততর অঙগনে বিচরণের
সযোগ এনে দেয় মানষ যেসব ঝৌকির
সমমখীন হয় তা থেকে আতমরকষায়
শারীরিকভাবে পরষ অধিক সকষম তাই
শতর করতক তলনামলক সে কমই
আকরানত হয় তেমনি তার মানসিক
গঠনেও দঢ়তা বেশি এ কারণে সে
অনেক দরঘটনার সামনেও অবিচল
থাকতে পারে যেমন অকসমাৎ কোনো
সরীসপ বা ভীমদরশন পরাণীর
আবিরভাব ইতযাদি এ জনযই সে নারীর
তলনায় বেশি নিরাপততা ও সাহসিকতার
সঙগে ভীতিকর ঝৌকিপরণ ও
বিভীষিকাময় পরিসথিতিতে এগিয়ে যায়
এ কারণেই সে নিরব নিষতি রাতেও
আতঙক জাগানিয়া নানা পরানত
বীরদরপে অতিকরম করতে পারে
নিরাপদে ফিরে আসতে পারে সবজনের
কাছে যা পারে না একজন নারী
উললেখয সাধারণত আমরা যখন পরষ
বা নারীর বৈশিষটয আলোচনা করি তা
কিনত বযতিকরম অবসথার অসতিতব
অসবীকার করে না কারণ অনেক সময়
নারীর বৈশিষটযের জায়গায় দেখা যায়
পরষকে যেমন পরষের সবকীয় সথানে
দেখা যায় নারীকেও
পরষের তলনায় নারীর মরযাদা
নারী-পরষের পরকতিগত সমপরক
বিষয়ে এমন বযতিকরমী বকতবযকে
অনেকে পরমাণ হিসেবে হাজির করেন
সমান গরতব সততবেও পরকতির
ভিননতায় যার সমপরক রাত-দিনের
মতো পরবাপর বিবেচনায় না এনে
বকতবযকে ভল বোঝার একটি সরল
দষটানত রাসলললাহ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললামের নিচে উললেখিত
বকতবয
يا معشر الن ساء تصداقن فإن أريتكنا أكثر أه raquo
تكثرن اللاعن قال الناار فقلن وبم يا رسول الله
ق ودين وتكفرن العشير ما رأيت من ناقصات
ج الحازم م الرا قلن وما أذهب للب ن إحداكنا
قلنا يا رسول الله أليس قال نقصان ديننا و
ج قلن بلى هادة الرا هادة المرأة مث نصف
قلها أليس إذا حاضت لم قال فذلك من نقصان
فذلك من نقصان قال بلى قلن متص ولم تص
laquoدينها
ldquoহে নারী সমপরদায় তোমরা বেশি বেশি
সদকা করো কেননা আমি তোমাদের
বেশি জাহাননামের অধিবাসী দেখেছিrsquo
মহিলারা বললেন কেন হে আললাহর
রাসল তিনি বললেন lsquoতোমরা
অধিকহারে অভিশাপ দাও এবং সবামীর
অকজঞতা দেখাও (বদধিমান পরষকে
নিরবদধি বানাতে) অলপ বদধি ও খাটো
দীনদারির আর কাউকে তোমাদের চেয়ে
অধিক পট দেখি নিrsquo তারা বললেন হে
আললাহর রাসল আমাদের জঞান ও
দীনের অলপতা কী তিনি বললেন
lsquoমহিলাদের সাকষী কি পরষদের
সাকষীর অরধেক নয়rsquo তারা বললেন
জী হযাৌ তিনি বললেন lsquoএটিই তাদের
জঞানের অলপতা যখন তাদের মাসিক
শর হয় তখন কি তারা সালাত ও সাওম
বাদ দেয় নাrsquo তারা বললেন জী হযাৌ
তিনি বললেন lsquoএটিই তাদের দীনদারির
সবলপতাrsquo[৬4]
এ বকতবযের পরেকষাপট হলো সেটি
ছিল ঈদের দিন রাসলললাহ
সাললাললাহ আলাইহি ওয়াসাললাম
চাইছিলেন তাদেরকে সদকা দানে
উদবদধ করতে বাসতবে এটি ছিল এমন
কথা বলে হাসয-কৌতক করার আদরশ
সময় যা আংশিক সতয তা হলো কিছ
কষেতরে নারীর সাকষী পরষের সাকষীর
অরধেকের মরযাদা রাখে এবং মাসিক
অবসথায় তাদের নামাজ পরোপরি
কষমা করা হয় আর রমজানের রোজা
অনয সময় আদায় করতে হয় দোষের
কষেতরে গণ বলে এখানে কৌতক করা
হয়েছে অরথাৎ জঞানে ও দীনে কম
হলে কী হবে বদধিমান পরষকে পরযনত
বোকা বানিয়ে ছাড়ে
পকষানতরে জাহাননামে তাদের সংখযা
বেশি হওয়া- তা তো সবাভাবিক
কেননা বাসতবে তাদের সংখযা পরষের
চেয়ে অনেক বেশি এছাড়া অনয কারণও
তো রয়েছে এদিকে সবামীর অকজঞতা
তারাই বেশি পরদরশন করে থাকে
আসলে এটিই তো আবেগী মনের
অপরিহারয দাবি
যাই হোক সবাভাবিকভাবে ইসলামে
পরষের মরযাদার তলনায় নারীর
মরযাদা তিন রকম
ক নারী যেসব অবসথায় পরষের
সমান
ইসলাম নারীকে পরষের সহোদরা
বানিয়েছে (রাসলললাহ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললাম যেমন
বলেছেন[৬5]) এবং নারী-পরষকে একে
অপরের শভাকাঙকষী বানিয়েছে
আললাহ তাlsquoআলা যেমন বলেন
ت بعضهم أولياء بعض ﴿وٱلمؤمنون وٱلمؤمن
ن ٱلمنكر﴾ ]التوبة يأمرون بٱلمعروف وينهون
٧١]
ldquoআর মমিন পরষ ও মমিন নারীরা একে
অপরের বনধ তারা ভালো কাজের
আদেশ দেয় আর অনযায় কাজ থেকে
নিষেধ করেrdquo [সরা আত-তাওবাহ
আয়াত 71]
আললাহ তাlsquoআলা আরও বলেন
ا ما ا ٱكتسبوا وللن ساء نصيب م ما جال نصيب م ﴿ل لر
[٣٢]النساء ٱكتسبن﴾
ldquoপরষদের জনয রয়েছে অংশ তারা যা
উপারজন করে তা থেকে এবং নারীদের
জনয রয়েছে অংশ যা তারা উপারজন
করে তা থেকেrdquo [সরা আন-নিসা
আয়াত 32]
আললাহ তাlsquoআলা আরও বলেন
ن ذكر أو أنثى وهو مؤمن لحا م م ص ﴿من
ولنجزيناهم أجرهم بأحسن ما ة طي بة فلنحييناهۥ حيو
[٩٧]النح ﴾ ٩٧كانوا يعملون
ldquoযে মমিন অবসথায় নেক আমল করবে
পরষ হোক বা নারী আমি তাকে পবিতর
জীবন দান করব এবং তারা যা করত
তার তলনায় অবশযই আমি তাদেরকে
উততম পরতিদান দেবrdquo [সরা আন-
নাহল আয়াত 97]
আললাহ তাlsquoআলা আরও বলেন
ت ﴿إنا ت وٱلمؤمنين وٱلمؤمن ٱلمسلمين وٱلمسلم
برين ت وٱلصا دق دقين وٱلصا ت وٱلصا نت نتين وٱلق وٱلق
قين ت وٱلمتصد شع شعين وٱلخ ت وٱلخ بر وٱلصا
ئمين وٱلصا ت وٱلصا ق فظين وٱلمتصد ت وٱلح ئم
ت كر كثيرا وٱلذا كرين ٱللات وٱلذا فظ فروجهم وٱلح
ظيما غفرة وأجرا لهم ما دا ٱللا ]الحزاب ﴾ ٣٥أ
٣٥]
ldquoনিশচয় মসলিম পরষ ও নারী মমিন
পরষ ও নারী অনগত পরষ ও নারী
সতযবাদী পরষ ও নারী ধৈরযশীল পরষ
ও নারী বিনয়াবনত পরষ ও নারী
দানশীল পরষ ও নারী সিয়ামপালনকারী
পরষ ও নারী নিজদের লজজাসথানের
হিফাযতকারী পরষ ও নারী আললাহকে
অধিক সমরণকারী পরষ ও নারী তাদের
জনয আললাহ মাগফিরাত ও মহান
পরতিদান পরসততত রেখেছেনrdquo [সরা
আল-আহযাব আয়াত 35]
আদম ও হাওয়া আলাইহিমাস সালামের
জাননাত থেকে বেরিয়ে আসার ঘটনার
রেশ ধরে ইসলাম নারীর ওপর অরধেক
দায়িতব দিয়েছে[৬৬] বরং এ বযাপারে
পরষই বড় দায়িতব বহন করে কেননা
চড়ানত সিদধানত তার হাতে[৬7]
খ যেসব অবসথায় নারী পরষের চেয়ে
ভিনন
ইসলাম একজন মাতাকে পিতার চেয়ে
বেশি হক দিয়েছে[৬৮] যেমন সৌদি
আরবে সরকারি চাকরিজীবি মায়েদের
জনয বারষিক ছটির অতিরিকত
পরসবকালীন ছটি হাদীসে বরণিত
নিফাসের মেয়াদ[৬9] অনযায়ী
কমপকষে পৌয়তাললিশ দিন দেওয়া হয়
তেমনি তাকে পবিতর করআনে
উললিখিত মেয়াদ[70] অনযায়ী সবামী
মারা গেলে বারষিক ছটির অতিরিকত
পরায় একশ দিনের বিশেষ ছটি দেওয়া
হয় অথচ পরষদের জনয এ ধরনের
কোনো ছটির বযবসথা নেই
একইভাবে ইসলাম নারীদের জনয
সোনা ও রেশমী কাপড় বযবহারের
অনমতি দিয়েছে পরষের জনয দেয়নি
নারীদের মাসে পরায় এক সপতাহ এবং
বছরে পরায় একমাস নামাজ মাফ করা
হয়েছে যা পরষের কষেতরে করা হয়
নি
শধ তাই নয় নারীদের পরতিপালনে
ইসলাম যে মরযাদা রেখেছে পরষদের
জনয তা রাখা হয় নি রাসলললাহ
সাললাললাহ আলাইহি ওয়াসাললাম
ইরশাদ করেন
ل يكون لأحدكم ثلث بنات أو ثلث أخوات raquo
laquoفيحسن إليهنا إلا دخ الجناة
lsquoতোমাদের যে কারও যদি তিনজন
কনযা বা বোন থাকে আর সে তাদের
সনদরমত দেখাশনা করে তবে সে
অবশযই জাননাতে পরবেশ করবেrsquo[71]
তেমনিভাবে রাসলললাহ সাললাললাহ
আলাইহি ওয়াসাললাম আরও বলেছেন
laquoخيركم خيركم لأهله raquo
ldquoতোমাদের মধযে সে-ই সরবোততম যে
তার সতরীর কাছে তোমাদের মধযে
সরবোততমrdquo[72]
এ হাদীসে সতরীর সঙগে সদবযবহারকে
পরষের চারিতরিক মরযাদার মাপকাঠি
নিরধারণ করা হয়েছে সতরাং এখন
আমরা কি বলবো যে ইসলাম পরষের
বিপকষে বরণবৈষমযকে পরশরয়
দিয়েছে
গ পরষের কিছ যোগযতা ও বৈশিষটয
পরষের ওপর ইসলাম পরিবারের
নেততবভার অরপণ করেছে এবং
উততরাধিকারে তার অংশ বেশি দিয়েছে
কারণ নারীর ভরণ-পোষণ তার
দায়িতবে আর কিছ কষেতরে নারীর
সাকষীকে পরষের অরধেক গণয করেছে
বিনিময়ে তাকে এমন কিছ দায়িতব
দেওয়া হয়েছে যা নারীকে দেওয়া হয় নি
পরষের ওপর পরিবারের আরথিক ভার
নযসত করা হয়েছে পরিবারের মৌলিক
অরথিক খাতগলো তাকেই সামলাতে
হয় আর তাকেই নিযকত করা হয়েছে
পরিবারের তততবাবধায়ক
আমরা দেখতে পাই ইসলাম অনেক
কষেতরে নারী-পরষকে একইরকম
অধিকার দিয়েছে পাশাপাশি উভয়ের
আলাদা বৈশিষটযও রেখেছে এভাবেই
ইসলাম উভয়ের মধযে সমতা বিধান
করেছে তবে এ সমতা দিনের সঙগে
দিনের কিংবা রাতের সঙগে রাতের
সমতার মতো নয় বরং তা গরতবের
দিক দিয়ে রাত ও দিনের সমতার মতো
যেমন আদরশ জীবন কিছতেই
উভয়টিকে উপেকষা করতে পারে না
আর যেমন একটি দিবস রাত বা দিনের
কোনোটির পরয়োজনকেই উপেকষা
করতে পারে না
সাধারণভাবে আমরা যখন ইসলাম নিয়ে
আলোচনা করি তখন ইসলাম ও
ইসলাম অনসারী তথা মসলিমদের
আচরণের মধযে পারথকয মাথায় রাখা
উচিৎ ইসলাম ও মসলিম দrsquoটি ভিনন
জিনিস কেননা মসলিম অনেক সময়
ইসলামী শিকষা থেকে বিচযত হতে
পারে মসলিম নারীমাতরেরই উচিৎ
পরষের সঙগে সমানাধিকার দাবি না
করে ইসলাম তাকে যে অধিকারগলো
দিয়েছে তা দাবি করা কেননা
সমানাধিকার নিতে গেলে ইসলাম
পরদতত অনেক পরাকতিক অধিকারও
হারাতে হয়
নারীর অবাসতব সমানাধিকারের
দাবিদাররা যার গান গায় আমরা যদি
সেই ফরাসি বিপলবের নথিপতর এবং
গণতানতরিক দেশসহ বহ দেশের
সংবিধান ঘেৌটে দেখি তাহলে দেখবো
অনেক কষেতরেই তারা নারীর সেই
অধিকারগলোর সবীকতি মাতর সেদিন
দিয়েছে ইসলাম যা পরতিষঠা করেছে
চৌদদশ বছর আগে শধ তাই নয় বরং
অনেক অধিকার এমনও আছে যার
সবীকতি আজো তারা দেয় নি যেমন
পরিবারে নারীর আরথিক দায়িতব কষমা
করা এবং তাকে যাবতীয় অরথনৈতিক
ভার থেকে অবযহতি দেওয়া
ইতযাদি[73]
সতরাং এসব বাসতবতা সমপরকে
অবগতির পরও কি কোনো
জঞানসমপনন মসলিম রমণী ইসলামের
দেওয়া তার অধিকার ও
বৈশিষটযসমহকে পদদলিত করে
পশচিমাদের নারীদের তথাকথিত
অধিকার দাবি করবেন
রাজনৈতিক করমকাণডে নারীর
অবসথান
ইসলামে নারীর অবসথান তলে ধরতে
গিয়ে আমরা যে পরাকতিক গণাবলির
কথা তলে ধরেছি তা থেকে আমাদের
সামনে সসপষট হয়েছে যে নারী-পরষ
উভয়েরই এমন কিছ বৈশিষটয রয়েছে যা
তাকে অনযজনের থেকে আলাদা করে
পাশাপাশি আমাদের সামনে এ কথাও
পরিষকার হয়েছে যে পরষরা যেসব গণে
অনযনয পরায় কষেতরেই তা তাকে বড়
নেততবের যোগযতর করে তোলে[74]
বিশেষত যখন এই করততবের জনয
পরয়োজন হয় শাসন বিচার ও
ইজতেহাদের যোগযতা আর অনয
কষেতরগলোতে নারী নেততব সমপরকে
শরিয়তবিদগণ নানা মত বযকত
করেছেন বিরোধপরণ এই
কষেতরগলোর মধযে রয়েছে বিচার
lsquoহাসবাrsquo (সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে
নিষেধের জনয সরকারি দায়িতব) এবং
অনযানয পরশাসনিক দায়িতব তবে
এতে বিনদমাতর সনদেহ নেই যে
ইসলাম নারীকে দায়িতব গরহণের
যোগয বিবেচনা করেছে কেননা
রাসলললাহ সাললাললাহ আলাইহি
ওয়াসাললাম ইরশাদ করেছেন
كم راع وكلكم raquoياته كل ن ر الإمام راع مسؤول
ج راع ف أهله وهو ياته والرا ن ر ومسؤول
ية ف بيت ياته والمرأة را ن ر مسؤول
ياتها والخادم راع ف ن ر زوجها ومسؤولة
كم راع مال سي ده ياته وكل ن ر ومسؤول
ياته ن ر laquoومسؤول
ldquoতোমাদের পরতযেকেই দায়িতবশীল
আর সবাই তোমরা জিজঞাসিত হবে
নিজ দায়িতব সমপরকে ইমাম একজন
দায়িতবশীল তিনি তাৌর দায়িতব
সমপরকে জিজঞাসিত হবেন পরষ
দায়িতবশীল তার পরিবারের সে
জিজঞাসিত হবে তার দায়িতব
সমপরকে মহিলা দায়িতবশীল তার
সবামীর গহের সে জিজঞাসিত হবে তার
দায়িতব সমপরকে ভতযও একজন
দায়িতবশীল সে জিজঞাসিত হবে তার
মনিবের সমপদ সমপরকে (এককথায়)
তোমরা সবাই দায়িতবশীল আর সবাই
জিজঞাসিত হবে সে দায়িতব
সমপরকেrdquo[75]
ইসলাম তেমনি নারীর সঙগে শলা-
পরামরশের গরতবকেও উপেকষা
করেনি কেননা রাববল আলামীনের